খবর ৭১: আফগানিস্তানের মানবিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে আরও ৩০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএসএইডের মাধ্যমে এ অর্থ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। দেশটির বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র, স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠান ও জরুরি খাদ্য সরবরাহে ব্যয় হবে এ অর্থ।
অন্যদিকে ২০২২ সালে আফগানিস্তানে মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে এবং বিধ্বস্ত দেশটি পুনর্নির্মাণে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল দরকার বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি দেশকে পুনর্গঠন করতে প্রয়োজন দক্ষ নেতৃত্ব, জনবল, বিদেশি সমর্থন ও বিশাল অঙ্কের অর্থ। তবে গেল আগস্টে তালেবান সরকার গঠনের পর বিদেশি সমর্থন আদায় এবং অর্থের যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি। এরইমধ্যে চরম মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকট চলছে আফগানিস্তানজুড়ে। এবার দেশটির ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে আরও ৩০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ সময় তিনি জানান, ইউএসএইডের মাধ্যমে দেশটিতে অবস্থিত বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র, স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠান ও জরুরি খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে এ অর্থ দেওয়া হবে। গেল বছরের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত আফগানিস্তাকে ৭৫ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
এদিকে ২০২২ সালে আফগানিস্তানে মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে এবং বিধ্বস্ত দেশটি পুনর্নির্মাণে প্রায় ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল দরকার বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংস্থাটির মুখপাত্র মার্টিন গ্রিফিথস।
আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে ২ কোটি ২০ লাখ এবং এর পার্শ্ববর্তী ৫টি দেশে পালিয়ে যাওয়া ৫৭ লাখ আফগান অভিবাসীর জন্য এ বছরেই দ্রুত সাহায্য দরকার বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এ ছাড়া ২০২২ সালে দেশটির ১১ লাখ শিশুসহ ৪৭ লাখ মানুষ তীব্র অপুষ্টি এবং শিক্ষকদের বেতন দিতে না পারায় ৮০ লাখ শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন গ্রিফিথস।