ক্যারিবীয়দের হারিয়ে নতুন রেকর্ড পাকিস্তানের

0
449

খবর৭১ঃ ক্রিকেট মাঠে রীতিমত অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যেন কাওকে তোয়াক্কা করে না অধিনায়ক বাবর আজমের দল। পাকিস্তান বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বাদ পড়লেও পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে দেখিয়েছেন তাদের দাপট। সুপার টুয়েলভসের পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই জয় পেয়েছিলেন তারা।

বিশ্বকাপ শেষে বাংলাদেশ সফরে এসে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সিরিজ জেতে ৩-০ ব্যবধানে। এ জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে ঘরে ফিরেও । সোমবার করাচিতে ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্কান ৬৩ রানে হারিয়ে উইন্ডিজকে।

এক বছরে টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড ১৮টি ম্যাচ জয় পাকিস্তানের, এই জয়ের মধ্য দিয়ে রেকর্ড বইয়ে নতুন রেকর্ড যোগ করলো তারা। অবশ্য তারা নিজেরাই নিজেদের রেকর্ড টপকেছে। এর আগে ২০১৮ সালে এক বছরে সর্বোচ্চ ১৭টি ম্যাচ জিতেছিল পাকিস্তান। বিশ্বের আর কোনো দল এখনো এক বছরে এতোগুলো ম্যাচ জিততে পারেনি। এই সিরিজের এখনো ২ ম্যাচ বাকি। বছর শেষে সংখ্যাটা আরও বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে পাকিস্তানের সামনে।

করাচি জাতীয় স্টেডিয়াম অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে উইন্ডিজ টস জিতে স্বাগতিকদের আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায়। সফকারীদের ভুলের সুযোগ বেশ ভালোভাবে কাজে লাগায় পাকিস্তানি ব্যাটাররা। বাবর রানের খাতা খুলতে না পারলেও বছরজুড়ে ধারাবাহিক পারফর্ম করা ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান খেলেন ৭৮ রানের ইনিংস। তিনি ৫২ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ফিফটির স্বাদ পান হায়দার আলি। ৩৯ বলে ৬৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

এছাড়া ইনিংসের শেষ দিকে মোহাম্মদ নেওয়াজ ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মাধ্যমে ১০ বলে ৩০ রানের এক ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২০০ রানের এক বিশাল সংগ্রহ দাড় করায় পাকিস্তান। ক্যারিবীয়দের পক্ষে রোমারিও শেফার্ড সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন।

২০১ রানের বিশাল লক্ষ্য টপকাতে নেমে পাকিস্তানিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের তোপে অসহায় হয়ে পরেন উইন্ডিজের ব্যাটাররা। এক ওভার বাকি থাকতেই মাত্র ১৩৭ রানেই গুঁটিয়ে যায় সফরকারীদের ইনিংস। ৬৩ রানের বড় জয় পায় পাকিস্তান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে ওপেনার শাই হোপের ব্যাট থেকে। স্বাগতিকদের পক্ষে মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ৪টি এবং শাদাব খান ৩টি করে উইকেট নেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here