আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা বাজারস্থ ‘নিশাত মেডিকেল সেন্টার’ নামে ঔষধের দোকানদার নুরুজ্জামান সরকারকে মারপিট করে দোকানে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে ৭-৮জন ব্যাক্তি অতর্কিতভাবে দোকানে হামলা চালায়। তারা সকলেই স্থানীয়ভাবে পরিচিত। এ সময় দোকানদার নুরুজ্জামান সরকারকে মারপিট করে দোকানে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। দোকানদার নুরুজ্জামান সরকার জানান, তার দোকানের পাশে জায়গা-জমিসহ দোকান ঘর বিক্রির জন্য বেলকা ইউনিয়নের পূর্ব বেলকা গ্রামের প্রভাত চন্দ্র দাশের ছেলে পিযুষ চন্দ্র দাশ বায়না হিসেবে ৩ লাখ টাকা গ্রহণ করে বাকী ২ লাখ টাকা না নিয়ে দলিল করে দেয়ার নামে দির্ঘদিন ধরে তালবাহনা করছে। এরই একপর্যায়ে আইনজীবি মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করি। উক্ত নোটিশ পেয়ে পিযুষ চন্দ্র দাশ দলবল নিয়ে অতর্কিতভাবে দোকানে হামলা চালায়। তাকে বেধরক মারপিট করার পর দোকানে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। এতে সবমিলে ৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এ ব্যাপারে পিযুষ চন্দ্র দাশের সঙ্গে কয়েকদফা মোবাইলফোনে কথা বলার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। বেলকা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ওসমান গনি সরদার জানান, তিনি কোন পক্ষ অবলম্বন করেননি। দলীয় ছেলে-পেলেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। জেনে সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণকল্পে উপস্থিত হই। শুনেছি পিযুষ চন্দ্র দাশের কাছ থেকে ঔষধের দোকানদার নুরুজ্জামান সরকারের টাকা পাওনা আছে। নুরুজ্জামান সরকারও আমার পরিচিত। সে একই ইউনিয়নের মধ্য বেলকা গ্রামের শামছুল হক সরকারের ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগে আমি উপস্থিত হয়েছি।
কি বাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আকতারুজ্জামান জানান, ফোনে পেয়ে উপরের নির্দেশ পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। হাটুরেদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ পূর্বক উভয় পক্ষকে থানায় যেতে পরামর্শ দেই।
থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে এখনো কোন মামলা বা অভিযোগ আসে নাই।