বিরামপুরে মাঠে মাঠে সবুজ শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন ও কৃষকের হাঁসি

0
492

নয়ন হাসান,বিরামপুর (দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ শস্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার চারদিকে এখন ঘন সবুজ আর সবুজের সমারোহ। ঢেউয়ের মতো দোল খেলে যাচ্ছে ধান গাছের সবুজ পাতা ও শীষ। আর এই সবুজের ঢেউয়ে দুলছে বিরামপুর উপজেলার কৃষকের স্বপ্ন। দিগন্ত জোড়া সবুজ ফসলের মাঠ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও বিকশিত করে তুলেছে।

আর কিছুদিন পরেই সবুজ ধানগাছগুলো হলুদ বর্ণ আকার ধারণ করবে। এরপর সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করবে ফসলের মাঠ। মাঠ ভরা ফসল দেখে কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ঝলমলে হাঁসি। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটে তাহলে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে একটি পৌরসভা ও উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১৭ হাজার ৪১১ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তার চেয়ে বেশি জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। এই উপজেলায় এবার গুঁটি সরনা, সরনা-৫ , বিড়ি-৩৪ এ তিন জাতের ধান প্রায় বেশি কৃষকরাই রোপণ করেছে। এছাড়াও উপজেলায় ইতোমধ্যেই আমন ধানের শীষ বের হয়েছে। তবে কিছু কিছু জমিতে ধানে রোগ দেখা দিলেও সেটি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তারপরও সতর্কতার সাথে জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করছে কৃষকরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে মাঠ আমন ধানের চাষাবাদে ভরে গেছে। ধানক্ষেতে ওষুধ প্রয়োগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বিরামপুরের কৃষকরা। স্থানীয় কৃষকরা জানান, কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শে চাষাবাদকৃত আমন ধান গতবারের চেয়ে এবার ভালো হয়েছে। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসে তবে এবার ধানের বাম্পার ফলন হবে ইনশাল্লাহ।

উপজেলার ৪নং দিওড় ইউনিয়েনর ছোট মানুষমুড়া গ্রামের কৃষক গোলাম মোস্তফাসহ কয়েকজন কৃষক জানান, এবার প্রতিটি গ্রামে প্রায় জমিতে আমন ধান আবাদ করা হয়েছে। এখন সবুজ থেকে সোনালী রং ধারণ করছে ফসলের মাঠ। ভালো ফলন হবে বলে আমরা আশা করছি।

পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের চাঁদপুর মহল্লার কৃষক বাবুল আখতার বলেন,আমি চলতি মৌসুমে ৭ বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করেছি, আশা করছি ভালো ফলন হবে।

বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল জানান, আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে আসছি এবং কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অধিক ফলনের জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, কীটনাশক, পানি সাশ্রয়, পোকামাকড় দমন এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করছি। এর ফলে কৃষকরা সঠিক সময়ে সার ও কীটনাশক তাদের ফসলি জমিতে প্রয়োগ করতে পেরেছে। আশা করা যাচ্ছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে অন্য বছরের চেয়ে এ বছর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here