ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু

0
323

খবর৭১ঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসীদের চাহিদা পূরণের জন্য ওয়াশিংটন ডিসিতে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন যৌথভাবে ওয়াশিংটন দূতাবাসে এই সেবার উদ্বোধন করেন।

পূর্বে প্রচলিত হাতে লেখা এবং মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের কিছু সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন বলেন, নতুন প্রচলিত ই-পাসপোর্ট বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির হওয়ায় এতে জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই। যার ফলে বহির্বিশ্বে এই পাসপোর্টধারীদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।

তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ এখনো ই-পাসপোর্টের প্রচলন করতে পারেনি এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করেছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার ইতোমধ্যেই ঢাকা, সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ই-গেইট স্থাপন করেছে, যা যাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াকে আরও সহজতর করবে।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম তার বক্তব্যে ই-পাসপোর্ট সেবা সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের একক কৃতিত্ব হিসেবে উল্লেখ করেন এবং এটি তার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের আরেকটি যুগান্তকারী মাইলফলক হিসেবে তুলে ধরেন।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আমাদের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন সারা বিশ্বে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের ভোগান্তি হ্রাস করবে। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুসারে, হাতের লেখা থেকে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট- এই পরিষেবার অগ্রগতিতে স্বল্প সময় লেগেছে। তিনি বাংলাদেশি অভিবাসীদের সর্বোত্তম সেবা প্রদানের জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এছাড়াও বিদেশে অবস্থিত সব মিশনের মধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস, ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রাথমিক পর্যায়ে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করার বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য সুরক্ষা সেবা এবং ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানান শহীদুল।

প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান বলেন, ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধনের পর ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর ইতোমধ্যে দেশে ১০ লাখ ই-পাসপোর্ট বিতরণ করেছে। তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের জুনের শেষে দেশের সব পাসপোর্ট অফিস ই-পাসপোর্ট সেবার আওতায় আনা হয় এবং বর্তমানে এই সেবাটি বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে সম্প্রসারিত হয়।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১০ সেপ্টেম্ব নিউইয়র্ক কনস্যুলেটে ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও বার্লিন এবং এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাসে ইতোপূর্বে ওই সেবা চালু হওয়ার প্রেক্ষিতে চতুর্থতম হিসেবে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) সেবা চালু হলো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here