যুক্তরাষ্ট্র প্রতিদিনই তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করছে

0
205

খবর৭১ঃ
গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি কাতারের রাজধানী দোহায় চুক্তি স্বাক্ষরের পর তালেবান নেতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদারের সঙ্গে করমর্দন করছেন আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তিদূত জালমে খালিলজাদ।

যুক্তরাষ্ট্র প্রায় প্রতিদিনই তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভ্যান। তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা চ্যানেল দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় প্রতিদিনই তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করছে। কিন্তু এখনও তালেবানের সঙ্গে সরাসরি কোনো আলোচনার কথা প্রেসিডেন্ট বাইডেন ভাবছেন না। খবর বিবিসির।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভ্যানের বরাত দিয়ে খবরে আরও বলা হয়, যত মার্কিন নাগরিক আফগানিস্তান ছাড়তে চায় তাদের সবাইকে ৩১ আগস্টের মধ্যেই উদ্ধার করে আনা সম্ভব বলে তার বিশ্বাস। তবে জো বাইডেন প্রতিদিনের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সৈন্য ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রত্যাহারের যে সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র সেই সময়সীমার মধ্যেই তাদের উদ্ধার অভিযান শেষ করতে চায়। এই সময়সীমা আরও বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন দেশ যে আহ্বান জানাচ্ছে, তাতে এখনো সাড়া দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।

পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বলছেন, আগের পরিকল্পনায় কোন রদবদলের সময় এখনো আসেনি। কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) জি-সেভেন দেশগুলোর যে ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা সেখানে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি এই সময়সীমা বাড়িয়ে মার্কিন সৈন্যরা যেন আরও কিছুদিন কাবুল বিমানবন্দরে থাকে, সেজন্যে চাপ দেবে।

তবে তালেবান এরই মধ্যে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে যে, বিদেশি সৈন্যদের অবস্থানের সময়সীমা বাড়ানো হলে সেটি হবে চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন।

রয়টার্স বার্তা সংস্থা জানাচ্ছে, মার্কিন সৈন্যদের অবস্থানের সময়সীমা বাড়ানো হবে কিনা, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেব্যাপারে প্রেসিডেন্ট বাইডেন সিদ্ধান্ত নেবেন।

তালেবানকে রাজি করানো কঠিন

এ বিষয়ে আফগানিস্তানে সেনা অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বর্তমান ব্রিটিশ এমপি টম টুগেনহাট বলেছেন, ৩১শে অগাস্টের সময়সীমা বাড়াতে কেবল যুক্তরাষ্ট্র রাজি হলেই চলবে না, তালেবানকেও রাজি হতে হবে।

তিনি বলেন, সময়সীমা বাড়ানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ভূমিকা আছে, কিন্তু মনে রাখতে হবে এখানে তালেবানকেও রাজি করাতে হবে। এটা করা খুব কঠিন। কারণ তালেবানের ওপর বিশ্বাস রাখা কঠিন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here