চাঁদের কক্ষপথে পরিবর্তন, ভয়াবহ বন্যা থাকবে ১০ বছর

0
186

খবর৭১ঃ চাঁদের কক্ষপথে আসছে প্রাকৃতিক পরিবর্তন। যাকে বলা হয় ‘উবল’। সঙ্গে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির বিষয়টি। সবমিলিয়ে ২০৩০ এর দশকে ১০ বছর ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়তে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যার প্রভাব পড়তে পারে সমগ্র বিশ্বে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ও হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে। সূত্র, আল জাজিরা।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে উচ্চ জোয়ার থেকে ২০১৯ সালে ৬০০টি বন্যা হয়েছিল। ২০৩০ এর দশকে সেই সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে নেচার ক্লাইমেট ম্যাগাজিনে প্রকাশিত গবেষণাটি। এই বন্যা হতে পারে গুচ্ছভাবে। আর তা স্থায়ী হতে পারে এক মাস বা তার বেশি সময় ধরে।

হারিকেনের প্রভাবে সৃষ্ট বন্যার চেয়ে উঁচু জোয়ারের কারণে সৃষ্ট বন্যায় লোকালয়ে পানির পরিমাণ কম প্রবেশ করে। ক্ষয়ক্ষতি কম হয়। কিন্তু গবেষণায় জড়িত হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ফিল থম্পসন বলেছেন, ‘যদি এক মাসে ১৫-২০ বার বন্যা হয় তাহলে ব্যবসা বাণিজ্য চালাতে পারবে না মানুষ। কারণ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট পানির নিচে তলিয়ে থাকবে। মানুষ চাকরি হারাবে। কারণ তারা বন্যার কারণে অফিসে যেতে পারবে না।’

তথাকথিত মুন ‘উবল’ এই নতুন ঘটনা নয়। ১৭২৮ সালে এটি প্রথম হয়েছিল। ১৮.৬ বছর ধরে প্রাকৃতিক এই চক্রটি চলতে থাকে। চক্রের প্রথমার্ধে পৃথিবীর নিয়মিত জোয়ার বাধাপ্রাপ্ত হয়। দ্বিতীয়ার্ধে জোয়ার সম্প্রসারিত হয়।

বর্তমানে চাঁদ ‘উবল’ চক্রের দ্বিতীয়ার্ধে তথা সম্প্রসারিত অর্ধে রয়েছে। যার কারণে ইতোমধ্যে বন্যার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। উপকূলীয় অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, চাঁদ যখন আবার সম্প্রসারিত বা প্রসারণ অর্ধে আসবে তখনকার পরিণতি হবে ভয়াবহ। যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের সব উপকূলীয় এলাকা ডুবে যাবে।

গবেষকরা যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলীয় অঞ্চলে জোয়ার পরিমাপের ৮৯টি স্থান পরীক্ষা করে দেখেছেন। নাসার প্রশাসক বিল নেলসন বলেছেন, ‘চাঁদের মহাকর্ষীয় টান, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তন যুক্তরাষ্ট্রসহ এবং পুরো বিশ্বের উপকূলীয় এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অধিকতর খারাপ করতে থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘নাসার সমুদ্রপৃষ্ঠের পরিবর্তন সংক্রান্ত কমিটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছে এই কারণে যে, আমরা যেন পরিকল্পনা করে ক্ষতির হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারি।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here