ঘনঘন হাই উঠার কারণ ও প্রতিকার

0
198

খবর৭১ঃ খুবই বিরক্তিকর একটা জিনিস হাই। সারা রাত ঘুমানোর পরেও সকালে অফিসে অথবা ক্লাসে গিয়ে ঠিকই হাই উঠতে থাকে। সবাই না, অনেকেই এমন সমস্যায় ভোগেন। কিছুতেই যেন এর থেকে মুক্তি মেলে না। না চাইতেই হাই উঠতেই থাকে। এর জন্য অফিসে বা ক্লাসে যথেষ্ট কথাও শুনতে হয়।

কিন্তু হাই কেন ওঠে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে কাজ করার ফলে শরীরে ক্লান্তি আসে। সেই ক্লান্তির জেরে উঠতে পারে হাই। আবার রাতে ঘুম কম হলেও দিনের বেলায় ঘনঘন হাই উঠেতে পারে।

কীভাবে রেহাই পাওয়া যায় এই বিরক্তিকর হাই উঠা থেকে? এর জন্য মেনে চলতে হবে কয়েকটি নিয়ম। চলুন তবে দেখে আসি, কী সেই নিয়মগুলো।

নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে ছাড়ুন

অনেক সময় শরীরে অক্সিজেনের অভাব হলে হাই ওঠে। তার জন্য নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিন এবং মুখ দিয়ে ছেড়ে দিন। দেখবেন আস্তে আস্তে হাই ওঠা কমে যাবে। এভাবে আপনার শরীরের অক্সিজেনের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যায়। যখন নিঃশ্বাস নেবেন তখন জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিন।

ঠান্ডা পানীয় পান করুন

যখনই হাই উঠবে তখন ঠান্ডা পানি অথবা কোল্ড ড্রিংস পান করুন। সোডা এবং কার্বোনেটেড পানীয় হাই বন্ধ করতে সক্ষম। যখন অফিসে কিংবা ক্লাসে যাবেন, তখন বোতলে করে ঠান্ডা পানি নিয়ে যাবেন। অফিসে বা ক্লাসেই যদি ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা থাকে, তবে তো কথাই নেই।

ঠান্ডা খাবার খান

ঠান্ডা পানির মতো ঠান্ডা খাবারও হাই থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য খুব কার্যকরী। যেমন ফ্রিজ থেকে বের করা খাবার, ফল ইত্যাদি। এছাড়া আইসক্রিমও খেতে পারেন। মিষ্টি জাতীয় খাবারও খুব ভালো। এটা আপনার শরীরের শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে ক্লান্তিকে দূর করতে সক্ষম হয়।

কর্মসূচী এক রাখুন

একটি কর্মসূচী বানিয়ে নিতে পারেন। যার মাধ্যমে প্রতিদিন এক সময় খাওয়া, ঘুমানো ইত্যাদি করতে পারবেন। তাহলে এই কর্মসূচীকে আপনার শরীর মানিয়ে নেবে। তখন আর কোনো ক্লান্তি, হাই কোনো কিছুই ছুঁতে পারবে না আপনাকে। এছাড়া ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। তাতে শরীর ঠিক থাকবে।

হাঁটার অভ্যাস করুন

হাই থেকে রেহাই পেতে প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটুন। এছাড়া অফিসে একভাবে অনেক্ষণ কাজ না করে কাজের ফাঁকে ফাঁকে কিছুটা হেঁটে নিন। দেখবেন এতে ক্লান্তি লাগবে না। বরং কাজে স্পৃহা আসবে। হাই থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে।

যোগা করুন

শুধু হাই তোলা বন্ধ করলেই তো আর হবে না! তার জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠে যোগা করা খুবই প্রয়োজন। আমাদের শরীরের বাড়তি টক্সিন এবং অতিরিক্ত ফ্যাট ক্লান্তির প্রধান কারণ। এর জন্য অন্ততপক্ষে দিনে ২০ মিনিট যোগা করা আবশ্যক।

তাছাড়া স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন, সবুজ শাক-সবজি, ফলমূল ইত্যাদি নিয়মিত খেতে হবে। ক্লান্তিকে আপনার সাথী হতে না দিলেই আর অবাঞ্ছিত হাইয়ের সমস্যাতেও ভুগতে হবে না আপনাকে। তাই উপরের টিপসগুলো মেনে চলুন, অবাঞ্চিত হাইকে বিদায় করুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here