খবর৭১ঃ
স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে যতটা ঘুমের প্রয়োজন ঠিক সেই পরিমাণ ঘুমাতে পারছেন না বেশির ভাগ মানুষ। অফিস টাইমিংয়ের কারণ হোক বা কাজের চাপ যে কোনও পরিস্থিতিতেই ব্যাঘাত ঘটছে ঘুমের।
প্রতিদিন নিশ্চিন্তে ৬ থেকে ৮ ঘন্টার ঘুম না হলে প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, হজমের সমস্যা, হৃদরোগের ঝুঁকি, হতাশা, ওজন বৃদ্ধি এমনকি চোখের সমস্যাও হতে পারে। সারাদিন পরে ঘুম যেমন-তেমন করে হলে তা শরীরের উপর প্রভাব আনে। কিন্তু ঘুম ভাল করে হওয়ার জন্য কেমন বিছানা ব্যবহার করবেন তা জানেন? শক্ত আর নরম এই ২ ধরনের বিছানা ব্যবহার করলে কী কী উপকার জেনে নিন।
শক্ত বিছানাতে ঘুমালে তা মেরুদণ্ডের ক্ষেত্রে খুব উপকারী। যার ফলে দেহ সোজা থাকে এবং শরীরে ব্যথা-বেদনাও কম হয়।
শক্ত বিছানায় ঘুমানোর ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালভাবে হয়, দেহ সোজা থাকার ফলে গোটা শরীরে রক্ত ভাল করে প্রবাহিত হতে পারে।
শক্ত বিছানাতে, অনেকেরই কোলবালিশ সঙ্গে করে নিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে তাতেও সুবিধা হয় কারণ একটা শক্ত ভিত থাকে নিচে। প্রথমে অসুবিধা হলেও পরের দিকে শক্ত বিছানায় ঘুমানোর অভ্যাস ঠিক হয়ে যায়।
নরম বিছানায় ঘুমানোর বেশ কয়েকটা সুবিধা রয়েছে। যাদের গাঁটে ব্যথা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে নরম বিছানা বেশ উপকারী বলে মতামত বিশেষজ্ঞদের, এতে ব্যথার উপশম হয়। নরম বিছানাতে মেরুদণ্ডের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের পাশ ফিরে ঘুমানোর অভ্যাস, তাঁদের ক্ষেত্রে নরম বিছানা আদর্শ কারণ শরীরের অঙ্গবিভঙ্গের সঙ্গে বিছানার একটা মেলবন্ধন তৈরি হয়ে যাওয়ায়, ঘুমানোর দোষে ব্যথার সম্ভাবনা থাকে না।
ঘুমের জন্য আদর্শ পটভূমি তৈরি করা। প্রতিদিন এক সময়ে ঘুমাতে যান, ঘুমের আগে উত্তেজক বা অ্যালকোহল পান এড়িয়ে চলুন, ঘরে ঘুমের পরিবেশ তৈরির দিকে নজর দিন। আমাদের বেডরুমের বিছানা হওয়া উচিত ঘুমের জায়গা, অন্য কিছুর নয়। যে ঘর অন্ধকার, অতিরিক্ত গরম নয়, জিনিসপত্রে ঠাসা নয়, যেখানে নানা যন্ত্রপাতি বা মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেয় এমন কিছু নেই।