জিজ্ঞাসাবাদে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন মেহজাবিন

0
257

খবর৭১ঃ

রাজধানীর কদমতলীতে বিষ খাইয়ে মা, বাবা ও বোনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার মেহজাবিন ইসলাম মুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। একাই খুনের দায় স্বীকার করেছেন হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন তিনি।

মেহজাবিনের দাবি, তার মা তাকে দিয়ে দেহব্যবসা করিয়েছেন। বোনকে দিয়েও মা দেহব্যবসা করাচ্ছিলেন।

তিনি জানান, তার বাবা বিদেশে থাকায় মা বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন। মা পরকীয়ায়ও লিপ্ত ছিলেন।

পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে মেহজাবিনের বিরুদ্ধে মামলা করা হলে আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মেহজাবিন আরও জানান, তিনি (মেহজাবিন) মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। পঞ্চম শ্রেণি ও অষ্টম শ্রেণিতে টেলেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলেন। অথচ তার মা তাকে দিয়ে দেহব্যবসা করিয়েছেন। বোনকে দিয়েও মা দেহব্যবসা করাচ্ছিলেন। ছোট বোনকে রক্ষা করতে তিনি নিজের বাসায় রেখেছিলেন। কিন্তু সেখানেও তাকে দেহব্যবসায় নিয়োজিত করা হয়। সম্প্রতি বাবা দেশে ফিরলে তার কাছে তিনি নালিশ দেন। কিন্তু মায়ের কোনো বিচার করেননি বাবা। এতে প্রচণ্ড হতাশাবোধ থেকে তিনি একক পরিকল্পনায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, স্বামী দেশে না থাকায় মৌসুমী তার দুই মেয়েকে দিয়ে দেহব্যবসা করাতেন। এসব নিয়ে প্রতিবাদও করেছিলেন মেহজাবিন। কিন্তু কোনো ফল হয়নি। তার বিয়ে হলে ছোট মেয়ে মোহিনীকে দিয়ে তিনি দেহব্যবসা চালাচ্ছিলেন। এর মধ্যে শফিক ও মোহিনীর মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এছাড়া মেহজাবিনের বাবা মাসুদ রানা সৌদি আরবে আরেকটি বিয়ে করেছেন। এসব মিলিয়ে দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভ থেকে পরিবারের সবাইকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মেহজাবিন।

এদিকে রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস শুনানি শেষে মেহজাবিনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে কদমতলী থানা পুলিশ তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করে।

শনিবার রাতে মেহজাবিনের বাবা মাসুদ রানার বড় ভাই সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে কদমতলী থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি ভাতিজি মেহজাবিন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামকে আসামি করেছেন। তবে মামলায় পরকীয়া এবং দেহব্যবসার বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার সকালে কদমতলীর মুরাদপুর রজ্জব আলী সরদার রোডের পাঁচতলা বাড়ির দ্বিতীয়তলা থেকে মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী ইসলাম (৪০) ও মেয়ে জান্নাতুল ইসলাম মোহিনীর (২০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অচেতন অবস্থায় মেহজামিনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ও মেয়ে তৃপ্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here