পরিবেশ অধিদপ্তর জবাব না দিলে মৌন সম্মতি ধরে নেওয়ার নির্দেশ

0
453

খবর৭১ঃ
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের জন্য করা আবেদনের উত্তর না পেলে সেটি মৌন সম্মতি হিসেবে ধরে নিতে পারবেন আবেদনকারীরা। এমন নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যদি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর জবাব না দেয়, তাহলে দেরি করা যাবে না। সেটিকে মৌন সম্মতি ধরে কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হবে।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন সরকারপ্রধান। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জে বিজিবির নতুন ব্যাটালিয়ন স্থাপনসহ ৯ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৫ হাজার ২৩৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৫ হাজার ৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ২৪৯ কোটি ৯৩ লাখ ব্যয়ের লক্ষ্য রয়েছে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনা সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মামুন-আল-রশিদ ও মোছাম্মৎ নাছিমা বেগম।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদনে সাড়া না দিলে সম্মতি ধরার বিষয়টি ডুয়িং বিজনেসের অবস্থার উন্নতিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। কেননা আমাদেরকে পরিবেশ যেমন বাঁচাতে হবে, তেমনি উন্নয়ন কাজও করতে হবে। অন্যান্য শিল্পকারখানাও করতে হবে। এসব বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, কোনো প্রকল্পের আওতায় গাছকাটা হলে সেখানে প্রচুর নতুন গাছ লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে, যাতে পরিবেশের ক্ষতি পুষিয়ে উঠে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র এলাকায় রেস্টুরেন্ট তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সেখানে এমন একটা পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে তরুণ-তরুণীরাসহ যে কোনো বয়সের মানুষ বেড়াতে যেতে পারেন। ঘুরে ফিরে দেখার মতো পরিবেশ যাতে তৈরি হয়। অপর নির্দেশনায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নদীর সঙ্গে সংযোগ খাল যেন কোনোভাবেই বন্ধ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কেননা এসব খাল দিয়ে নদীর পানি যাতায়াত করে থাকে। অযথা স্লুইস গেট তৈরি করা যাবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here