বাদশার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করলেন জর্ডানের গৃহবন্দী প্রিন্স

0
245

খবর৭১ঃ জর্ডানের রাজপ্রাসাদ জানিয়েছে, প্রিন্স হামজা সৎভাই বাদশা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছেন। এই সম্বলিত একটি পত্রে তিনি স্বাক্ষর করেছেন। আর এর মাধ্যমে রাজদ্বন্দ্ব প্রশমিত হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার জর্ডানের রয়্যাল কোর্টের বিবৃতির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, জর্ডানের গৃহবন্দী প্রিন্স একটি পত্রে স্বাক্ষর করেছেন। ওই পত্রে তিনি ঐতিহ্যগতভাবে হাসেমি রাজতন্ত্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

গতকাল সোমবার জর্ডানের রয়্যাল কোর্ট জানিয়েছে ওই চিঠিতে প্রিন্স হামজা বলেছেন, আমি আমাকে মহিমান্বিত রাজার হাতে সমর্পন করলাম। আমি জর্ডানের হাসেমি রাজ্যের সংবিধানের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবো। আমি মহিমান্বিত রাজা এবং তার ক্রাউন প্রিন্সের প্রতি সর্বদা সহায়তা ও সমর্থন করব।

জর্ডানের সাবেক প্রিন্স হামজা গতকাল সোমবার প্রিন্স হাসান, বাদশার চাচা এবং অন্যান্য প্রিন্সের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এই চিঠি লেখেন। জর্ডানের শাসক বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ রাজদ্বন্দ্ব মিটমাটের জন্য মধ্যস্থতায় রাজী হন।

ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, সবার ওপরে জন্মভূমি তথা দেশের স্বার্থ প্রাধান্য থাকবে। জর্ডান এবং দেশের জাতীয় জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য আমরা সবাই অবশ্যই রাজা এবং তার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করব।

এর আগে গত রবিবার জর্ডানের উপ প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বিদেশিদের সঙ্গে যোগসাজসে প্রিন্স হামজা দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্র করেছেন। জর্ডান সরকার সঠিক সময়ে সেই ষড়যন্ত্র উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। স্ত্রীসহ প্রিন্স হামজার বিদেশে পালিয়ে যেতে একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থা হামজার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি।

একইদিন ভিডিও বার্তায় প্রিন্স হামজা অভিযোগ করেন তাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনী তাকে ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করেছেন। পরেরদিন অথ্যাৎ গতকাল সোমবার তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর আদেশে তিনি বাইরের বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করবেন না। প্রিন্স হামজা বলেন, আমি এখন উত্তেজনা বাড়াতে চাইনা। কিন্তু তারা আমাকে যখন বলে আমি বাইরে বের হতে পারবো না, টুইট করতে পারবো না , কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবো না; তখন আমি সেই আদেশ মানতে পারিনা।

প্রিন্স হামজা জর্ডানের সাবেক ক্রাউন প্রিন্স। তার সৎ ভাই দেশটির বর্তমান শাসক বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ ২০০৪ সালে তার ক্রাউন প্রিন্স খেতাব কেড়ে নেন। এরপর রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং কর্তৃত্ববাদীতার অভিযোগ করা করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here