রান পাহাড়ে চাপা পড়ে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

0
350

খবর৭১ঃ নিউজিল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের পর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ৬৫ রানে। এর আগে প্রথম ম্যাচে ৬৬ রানে ও দ্বিতীয় ম্যাচে বৃষ্টি আইনে ২৮ রানে হেরেছিল টাইগাররা। এই ম্যাচের মাধ্যমেই শেষ হলো বাংলাদেশ দলের নিউজিল্যান্ড সফর।

এদিন অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে কমিয়ে ১০ ওভারে আনা হয়। প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ১০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪১ রান করে। পরে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে ৯.৩ ওভারে ৭৬ রান করে অলআউট হয়।

দলের পক্ষে তিনজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেন। সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন নাঈম শেখ। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে টিম সাউদি ১৫ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। ১৩ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন টড অ্যাসলে।

বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে সৌম্য সরকারকে ও ষষ্ঠ বলে লিটন দাসকে হারায়। সৌম্য ৪ বলে ১০ রান করলেও লিটন প্রথম বল মোকাবেলা করতে গিয়েই বোল্ড হন। বোলার টিম সাউদির হাতে ক্যাচ হয়েছিলেন সৌম্য।

চতুর্থ ওভারে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন নাঈম শেখ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৩ বলে ১৯ রান করেন নাঈম। ৬ বলে ৮ রান করেন শান্ত। টড অ্যাসলের করা ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে স্ট্যাম্পিং হন আফিফ হোসেন। চতুর্থ বলে ফিলিপসের হাতে ক্যাচ হন শেখ মেহেদী হাসান।

এরপর সপ্তম ওভারে শরিফুল ও অষ্টম ওভারে তাসকিন আহমেদ বিদায় নেন। নবম ওভারে টিম সাউদির শিকার হন মোসাদ্দেক হোসেন। দশম ওভারে সাউদির হাতে ক্যাচ হন নাসুম আহমেদ।

অন্যদিকে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা তাদের ইনিংসের শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকেন। একের পর এক চার-ছক্কায় বড় স্কোরের দিকে এগোতে থাকে তারা। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে দলীয় ৮৫ রানে মার্টিন গাপটিল ফিরে যান আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ হয়ে। এক্ষেত্রে বোলার ছিলেন শেখ মেহেদী হাসান। ১৯ বলে ১টি চার ও পাঁচটি ছক্কার সাহায্যে ৪৪ রান করেন তিনি।

দলীয় ১২৩ রানে গ্লেন ফিলিপস ক্যাচ হন সৌম্য সরকারের হাতে। ৬ বলে ১৪ রান করেন তিনি। দশম ওভারে তাসকিনের বলে স্কুপ করতে গিয়ে মিরাজের হাতে ক্যাচ হন ফিন অ্যালেন। ১৮ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশত পূরণ করা অ্যালেন শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ৭১ রান করে আউট হন। তার ইনিংসে রয়েছে ১০টি চার ও তিনটি ছক্কার মার। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হন ড্যারিল মিচেল।

এই ম্যাচে একজন বোলারের জন্য বরাদ্দ ছিল সর্বোচ্চ ২ ওভার। পেসার রুবেল হোসেন ২ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। শেখ মেহেদী হাসান ২ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ১টি উইকেট। নাসুম আহমেদ ২ ওভারে ২৯ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন। ২ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। ২ ওভারে ২১ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। ম্যাচসেরা হন নিউজিল্যান্ডের ফিন অ্যালেন। সিরিজ সেরা হয়েছেন স্বাগতিক দলের গ্লেন ফিলিপস।

এই ম্যাচে ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাই অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয় লিটন দাসকে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ফল: ৬৫ রানে জয়ী নিউজিল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ড ইনিংস: ১৪১/৪ (১০ ওভার)

(গাপটিল ৪৪, অ্যালেন ৭১, ফিলিপস ১৪, মিচেল ১১, চ্যাপম্যান ০*; নাসুম ০/২৯, তাসকিন ১/২৪, শরিফুল ১/২১, রুবেল ০/৩৩, শেখ মেহেদী ১/৩৪)।

বাংলাদেশ ইনিংস: ৭৬ (৯.৩ ওভার)

(নাঈম ১৯, সৌম্য ১০, লিটন ০, শান্ত ৮, আফিফ ৮, মোসাদ্দেক ১৩, শেখ মেহেদী ০, শরিফুল ৬, তাসকিন ৫, রুবেল ৩*, নাসুম ৩; সাউদি ৩/১৫, মিলনে ১/২৪, ফার্সুসন ১/১৩, অ্যাসলে ৪/১৩, ফিলিপস ১/১১)।

ম্যাচসেরা: ফিন অ্যালেন (নিউজিল্যান্ড)।

সিরিজ সেরা: গ্লেন ফিলিপস (নিউজিল্যান্ড)।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here