মদনে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মালামাল বিক্রির অভিযোগ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির

0
278

মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণার মদন উপজেলার বনতিয়শ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক শাহীন সুলতানা ও সহকারী শিক্ষক বিপুল আক্তারের বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটিরি সভাপতি মোঃ খসরু রোমান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে বৃহস্পতিবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহীন সুলতানার নিকট জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনে বলেন, আরো ৭/৮টি অভিযোগ হলে আমি কোর্টে যাব। তিনি আরো বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাহেবের বাবা জীবিত থাকাকালীন সময়ে উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি থাকায় টিনগুলো তিনি ব্যবহার করেছেন। বিদ্যালয়ের ভাঙা ব্যাঞ্চের রড সাতশত টাকায় বিক্রি করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। বিদ্যালয়ের ব্যাংক একাউন্ট আমার নামে একক ভাবে হওয়ায় সভাপতি আমার নামে এমন অভিযোগটি করতে পারেন।

গত ১৪ মার্চ একই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহ-সভাপতি লেহাছ উদ্দিন। এমন পাল্টা পাল্টি অভিযোগ হওয়ায় বর্তমানে বিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বনতিয়শ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহীন সুলতানা ও সহকারি শিক্ষক বিপুল আক্তারের যোগসাজসে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কোন অনুমতি না নিয়ে ৪০ টি বেঞ্চ ও ৪টি কাঠের দরজা ও ৭২ পিস টিন বিক্রি করে টাকা
আত্মসাৎ করেছে বলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ খসরু রোমান লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সরজমিনে গেলে বিদ্যালয়ের নামে কোনো সাইনবোর্ড নেই এবং বিদ্যালয়টি তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। বিদ্যালয়ের সামনের গর্তের
জায়াগায় ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে দেখা যায়। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলী আকবর জানান, শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির মধ্যে দ্বন্দ থাকায় আমি এই উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করছি। বিষয়টি দ্রæত সুরাহা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছি। এমন দ্বন্দে বিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিবেশ ব্যহতসহ সার্বিক কার্যক্রম হ্রাস পাবে বলে স্থানীয় সচেতন মহল অভিমত প্রকাশ করেন। তাদের দাবি অনতিবিলম্বে অনৈতিক কার্যক্রমের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে দ্বন্দ নিরসন করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বিপুল আক্তার জানান, সভাপতি আমার নামে একটি মিথ্যা
অভিযোগ দায়ের করেছেন। ব্যাঞ্চ, দরজা সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক বিক্রি করেছেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, গত কয়েকদিন আগে উক্ত বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি লেহাছ উদ্দিন একই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সভাপতি ও প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনুরূপ একটি অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। যা তদন্তাধীন আছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here