পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: পাইকগাছায় স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির অমানুষিক নির্যাতনে লিমা আক্তার নামে এক গৃহবধু আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পুলিশ ভিডিও চিত্র দেখে পাষন্ড স্বামী আমান সরদার ও তার বাবা-মা’কে গ্রেফতার করেছেন। বুধবার রাত ১১ টার দিকে সোলাদানা ইউপির (চৌরাস্তা মোড়) ছালুবুনিয়াতে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।
নির্যাতিত গৃহবধুর মা গড়ইখালীর ফকিরাবাদ গ্রামের মৃঃ মাসুদ গাজীর স্ত্রী নাছিমা বেগম জানান, ৬ বছর পুর্বে তার মেয়ে লিমার সাথে ছালুবুনিয়া গ্রামের আশরাফ সরদারের ছেলে আমানের সাথে বিবাহ দেওয়া হয়। এদের সংসারে ৪ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিযের পর থেকে আমান নানান অজুহাত দেখিয়ে টাকা পয়সা নিয়ে আসছেন।
সর্বশেষ আমান বিদেশে যাবার কথা বলে ২ লাখ টাকা দাবী করে। এ টাকা দিতে অস্বীকার করলে ঘটনার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এরই এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আমান তার বাবা আশরাফ ও মা নাছিমা একজোট হয়ে নির্যাতন চালালে লিমা জ্ঞান হারায়। প্রতিবেশীরা এ ঘটনাটি মোবাইলে লিমার পরিবারকে জানালে পরদিন সকলে মামা সহিদুল গাজী লিমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ সম্পর্কে আহত লিমা জানান, স্বামী আমান এক ধরনের নেশা করে প্রায়ই সময় আমার উপর অত্যাচার করে টাকা চায়। আমার বাবা নেই, গরীর মা কিস্তিতে একটি মটরসাইকেলও কিনে দিয়েছেন। এখন বিদেশে যাবার জন্য ২ লাখ টাকা দাবী করছেন। এ টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ঘটনার রাতে দু’এক কথায় ওরা আমার উপর অমানুষিক ভাবে নির্যাতন চালায়। এদিকে এ নির্যাতনের একটি ভিডিও চিত্র পুলিশের হাতে পৌছানো মাত্রই বৃহস্পতিবার বিকেলে ওসি মোঃ এজাজ শফী অভিযান চালিয়ে আমান সরদার তার বাবা আশরাফ ও মা নাছিমাকে গ্রেফেতার করেন। এ ঘটনায় লিমার মা নাছিমা বাদী হয়ে বাদী হয়ে আমান ও তার বাবা-মা’র বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। ওসি এজাজ শফী জানিয়েছেন, মামলার আসামীদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।