হাজী সেলিমপুত্র ইরফানের জামিন ঠেকাতে আপিলে যাচ্ছে রাষ্ট্রপক্ষ

0
310

খবর৭১ঃ নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বাতিল চাইবে রাষ্ট্রপক্ষ। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসকে অবহিত করেছেন।

বশির উল্লাহ বলেন, গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট থেকে ইরফান সেলিমের জামিন আদেশ হয়। ওইদিনই আদেশ বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদনের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে নোট দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমার জানামতে- হাইকোর্টের রায়ের কপি এখনো বের হয়নি এবং ইরফান সেলিম কারাগার থেকে বের হতে পারেননি।

গত ২৭ জানুয়ারি এ মামলায় ইরফান সেলিমের জামিন প্রশ্নে দুই সপ্তাহের রুল দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না- জানতে চাওয়া হয়েছিল রুলে। তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রায় দেন। এ মামলায় জামিন পাওয়ায় ইরফান সেলিমের কারামুক্তিতে আর বাধা থাকছে না বলে সেদিন জানিয়েছিলেন তার আইনজীবী।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। ওইদিন রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন বশির উল্লাহ।

গত ২৪ অক্টোবর রাতে ধানমণ্ডি এলাকায় সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো হাজী সেলিমের একটি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। ওই ঘটনায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওয়াসিফ। হাজী সেলিমের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু, ওই গাড়িতে থাকা সেলিমের দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদ ও মিজানুর রহমানের নাম উল্লে­খ করে অজ্ঞাতপরিচয়ে আরও তিনজনকে আসামি করা হয় মামলায়।

পরদিন ২৫ অক্টোবর পুরান ঢাকার সোয়ারিঘাটের দেবীদাস লেনে হাজী সেলিমের বাড়ি ঘেরাও করে অভিযান চালায় র‌্যাব। আটক করা হয় ইরফান ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে। ওই ভবন থেকে দুটি অবৈধ পিস্তল, গুলি, একটি এয়ারগান, ৩৭টি ওয়াকিটকি, একটি হ্যান্ডকাপ এবং বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করার কথা সে সময় র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

মদ আর ওয়াকিটকির জন্য ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মাস করে এক বছরের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে ইরফান সেলিমকে কারাগারে পাঠানো হয়। অস্ত্র ও মাদক আইনে আলাদা মামলা দায়ের করা হয় তার বিরুদ্ধে। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পদ থেকেও বরখাস্ত হন তিনি। পরে পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলে ইরফান সেলিমকে মাদক ও অস্ত্র মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। তবে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে ‘মারধরের’ মামলায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি ইরফানসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয় পুলিশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here