এবার বেসরকারি পত্রিকার প্রকাশনাও বন্ধ করল মিয়ানমার

0
541
মিয়ানমার
মিয়ানমার

খবর ৭১: গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপর থেকে দেশটিতে চলছে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ। চলমান বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স (এএপিপি) নামে একটি অধিকার সংগঠন। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিক্ষোভকারীরা যাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারে তার জন্য জান্তা সরকার অনেক এলাকায় এ সেবা সীমিত করেছে। পাবলিক প্লেসে ওয়াইফাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণে দাউইসহ কয়েকটি শহরে ইন্টারনেটে সেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেসরকারি তাচিলিক নিউজ এজেন্সি ক্যাবল কাটার ছবি প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের সঙ্গে ফাইবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে এ ক্যাবল কাটা হয়েছে।

জেনেভায় অবস্থিত মার্কিন মানবাধিকার অফিস জানিয়েছে, মিয়ানমারে ৩৭ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এখনও ১৯ জনকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

বিক্ষোভ শুরুর পরে জান্তা সরকার কয়েকটি পত্রিকা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। অন্যরাও পত্রিকা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।

পশ্চিমা দেশগুলো সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। এশীয় প্রতিবেশীরা সংকটের সমাধান খুঁজতে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে।

এদিকে ইয়াঙ্গুনে মার্শাল ল’ (সামরিক শাসন) জারির পর শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় অবরোধ আরোপ করেছে জান্তা সরকার। এরই মধ্যে শহরের পাশাপাশি মিয়ানমারের গ্রামগুলোতেও জোরদার হচ্ছে জান্তা সরকারবিরোধী আন্দোলন।

বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এ ভিডিওতে দেখা যায় গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন দুই শতাধিক। তারপরও আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ অব্যাহত আছে।

মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের গুলি চালানোর এক মর্মস্পর্শী দৃশ্য বুধবার প্রকাশ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এ ছাড়া জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতার জেরে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে ইয়াঙ্গুন ছেড়ে পালাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। একদল মানুষ শহর ছাড়লেও অনেকেই জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে বরাবরের মতো আন্দোলনে বাড়ছে সামরিক বাহিনীর গুলি এবং নির্যাতন। এতে প্রতিদিনই বাড়ছে নিহতের সংখ্যা।

এ অবস্থায় গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা বন্ধে সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার সংস্থার মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনের মুখপাত্র বলেছেন মিয়ানমারের কর্মকাণ্ড কোনো অবস্থাতেই মেনে নেওয়া হবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here