আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ পিস্তল ও ৬ রাউন্ড গুলিসহ গোলাম রব্বানী ওরফে রুবেল (৩৩) ও মাহবুর রহমান (৩০) নামে ২ যুব নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের মধ্য-পরাণ গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে বিদেশী পিস্তল ৬ রাউন্ড গুলিসহ রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রুবেল ঐ গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে ও মাহবুর একই ইউনিয়নের শান্তিরাম গ্রামের মৃত আকবর আলী ওরফে আকবর তেলীর ছেলে। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে পুলিশের দায়েরকৃত এ মামলাসহ মাহবুরের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা দাড়িয়েছে ২০টি। মাহবুরের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে জুয়া, সন্ত্রাস, নাশকতা, ছিনতাই, মারামরীসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের জন্য অসংখ্য মামলা হয়েছে। গত রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারী) গ্রেপ্তারের পর বিজ্ঞ আদালতের মঞ্জুরকৃত ৩ দিনের রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদে মাহবুরের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এতে গোলাম রব্বানী রুবেলের হেফাজতে থাকা ৬ রাউন্ডগুলি ও পিস্তল উদ্ধারসহ রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে থানা সূত্র জানিয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের চোখে ফাকি দিয়ে নিজ দলকে নিয়ে মাহবুর রহমান মাস্তানী, চাঁদাবাজী, ছিনতাই, মুক্তিপণ আদায়ের মতো অপরাধ-প্রবণতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসায় কেউ কোনদিন মাহবুর ও তার বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায়নি। বাহিনী প্রধান মাহবুর গ্রেপ্তার হলেও আতঙ্ক রয়েছে। তাঁরা দ্রুত মাহবুর বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদেরকে গ্রেপ্তারের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। গোলাম রব্বানী ওরফে রুবেল উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক ও মাহবুর রহমানের সুনির্দিষ্ট পদের কথা না জানলেও জাতীয়তাবাদী যুবদল নেতা হিসেবে স্থানীয়রা জানেন বলে জানান। স্থানীয়রা আরো জানান, বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের শেষের দিকে এ মাহবুর বাহিনীর অপতৎপরতা আশঙ্কাতীত হারে বাড়তে থাকে। তখন থেকে ভাড়াটে দখলকার হিসেবেও কর্মকান্ড চালিয়েছে মাহাবুর বাহিনী। তখন রুবেলও মাহবুর বাহিনীর সঙ্গেই ছিল বলে ধারণা পোষণ করেন এলাকাবাসী।
থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান জানান, অন্যান্য মামলায় গ্রেপ্তারের পর বিজ্ঞ আদালতের মঞ্জুরকৃত ৩ দিনের রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদে দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৬ রাউন্ড গুলি,পিস্তলসহ গোলাম রব্বানী রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।