রাষ্ট্রীয় চুক্তি ছাড়া বাংলাদেশকে তথ্য দেবে না সুইস ব্যাংক

0
344

খবর৭১ঃ রাষ্ট্রীয় চুক্তি ছাড়া অর্থ ফিরিয়ে আনা বা না আনার বিষয়ে বাংলাদেশকে কোনো তথ্য দেবে না সুইস ব্যাংক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান হাইকোর্টকে এ কথা জানিয়েছেন।

আলোচিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরসহ অন্যদের মাধ্যমে বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংক, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি হয় বুধবার। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদেশের দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।

বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ দিন নির্ধারণ করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবদুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

আইনজীবীরা বলেন, বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশে পাচার করা অর্থ অবিলম্বে ফেরত আনতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী আবদুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। রিটে মুসা বিন শমসেরসহ অন্যদের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংক, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়। আবেদনে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংবাদপত্রে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়।

রিট আবেদনে বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশের ব্যাংকে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে বিবাদীদের চরম ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

একইসঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের অতীতের এবং বর্তমানে এ ধরনের অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন পর্যবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণে একটি স্পেশাল কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি পাচারের বিষয়ে তথ্য থাকলে প্রকাশ করে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের প্রতি নোটিশ জারির আবেদনও করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here