মিরসরাইয়ে গৃহবধূ মুন্নী মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে পিবিআই

0
353
মিরসরাইয়ে গৃহবধূ মুন্নী মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে পিবিআই

মিরসরাই প্রতিনিধিঃ

মিরসরাইয়ের করেরহাটের অলিনগরের আলোচিত কুলছুমা আক্তার মুন্নী মৃত্যুর দীর্ঘ ১০ মাস পর সঠিক তদন্ত ও দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির নিমিত্তে তদন্তে নামে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গতকাল (৮ ফেব্রুয়ারী) সোমবার বিকালে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

গত বছরের ৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়িতে মৃত্যুর পর দীর্ঘ ১০ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে কুলছুমা আক্তার মুন্নী মৃত্যুর কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি, হয়নি কোন বিচার, হয়নি কোন সুরাহা, হয়নি এখনো কোন আসামি গ্রেফতার। ভিকটিম এর পরিবারের কাছে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট প্রকাশ করা হলেও চার্জশিট থেকে আসামিদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছে।

এই নিয়ে ভিকটিম এর পরিবারের মধ্যে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। এই রহস্য জনক মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল এর সৃষ্টি হয়েছে।
গত বছরের ৫ এপ্রিল (রবিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে করেরহাট ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম অলিনগর গ্রামের সওদাগর বাড়িতে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সে ঐ বাড়ির কাতার প্রবাসী আক্তার হোসেন প্রকাশ মুক্তার এর স্ত্রী। গৃহবধূ কুলছুমা আক্তার মুন্নী তার শ্বশুর বাড়িতে নির্মমভাবে খুন হয়।

নিহতের বড়ভাই করেরহাট এনবি শিশু একাডেমির সহকারী শিক্ষক এবং অলিনগর তারকা ক্রিড়া সংঘের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহম্মদ জানান, গত বছরের ৫ এপ্রিল (রবিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় দিকে তার বোন মুন্নী মারা গেছে শুনে ছুটে যাই তার শ্বশুর বাড়িতে। সেখানে গিয়ে দেখি রুমের দরজা খোলা অবস্থায় আমার বোনের লাশ এলোমেলো বিছানায় পড়ে আছে। তারপর তাকে উদ্ধার করে সিএনজি অটোরিকশাযোগে মস্তান নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অমিত দে তাকে মৃত ঘোষণা করে। সেখান থেকে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তার আগে বিকেল ৫ টার দিকে আমাদের বাড়ি থেকে সে তার শ্বশুর বাড়িতে যায়। আর আমি তার জন্য ঔষধ আনতে ফার্মেসীতে যাই তখন তার মৃত্যুর খবর শুনতে পাই।
তবে তার দাবি তার বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ফিরোজ আরও বলেন, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হওয়ায় আমার ভাগিনা ৪ বছরের অবুঝ শিশু আরাফাত হোসেন মাহিনকে নিয়ে ভয়, উৎকন্ঠা ও হতাশার মধ্যে দিনগুলো কাটছে।
আসামীদের গ্রেফতার না করে উল্টো চার্জশিট থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও সঠিক বিচারের নিমিত্তে উক্ত মামলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তে স্থানান্তর করি।

তারই আলোকে গতকাল (সোমবার) বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিদর্শক আক্তার হোসেন বলেন, কুলছুমা আক্তার মুন্নী মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের নিমিত্তে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, তদন্ত চলছে, তারপর আসল রহস্য জানা যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here