খবর৭১ঃ
করোনার টিকাদান কার্যক্রম আজ রবিবার সারা দেশে একযোগে শুরু হচ্ছে। প্রথম দিনে ঢাকাসহ সারা দেশে ১ হাজার ৫টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে, যার মধ্যে ঢাকার ৫০টি কেন্দ্র রয়েছে। ঢাকায় ২০৪টি এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ১৯৬টি স্বাস্থ্যকর্মী দল এসব কেন্দ্রে সরাসরি টিকাদানে নিয়োজিত থাকবে। ধারাবাহিকভাবে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে মোট ৭ হাজার ৩৪৬টি দল প্রস্তুত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ সকাল ১০টায় করোনার টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সারা দেশে জেলা-উপজেলায় করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে গেছে। সারা দেশে আজ থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। টিকার জন্য নিবন্ধন করা না থাকলেও কেন্দ্র থেকে কাউকে ফেরত পাঠানো হবে না। কেন্দ্রেই নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে। এক্ষেত্রে টিকা নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে। দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরুর আগের দিন গতকাল শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে আসেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি জানান, টিকা নিতে গতকাল শনিবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ৩ লাখ ২৮ হাজার ১৩ জন নিবন্ধন করেছেন। টিকাদানের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, ‘সব কেন্দ্রের প্রস্তুতি ভালো। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা ঢাকার হাসপাতালগুলো পরিদর্শন করেছেন। আশা করছি সব কাজ সুন্দরভাবে শুরু করতে পারব।’ অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি ‘এ’ মানের। ১০০-এর মধ্যে ৭৫ নম্বর পেলে ‘এ’ মানের হয়।