এইচএসসির ফল প্রস্তুত: শিক্ষামন্ত্রী

0
221
এইচএসসির ফল প্রস্তুত: শিক্ষামন্ত্রী

খবর৭১ঃ বৈশ্বিক মহামারি করোনার মধ্যে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হওয়ায় বিকল্প মূল্যায়নের মাধ্যমে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য আইন সংশোধনের প্রস্তাব উঠেছে সংসদে। এই পরীক্ষার ফল ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে আছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল আমাদের প্রস্তুত রয়েছে। বিলটি পাস হলেই ফল প্রকাশ করা হবে।

মঙ্গলবার ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১ এবং বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল- ২০২১ সংসদে উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী।

পরে ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন বিলটি এক দিনের মধ্যে এবং বাকি দুটি দুদিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

এই বিল সংসদে অনুমোদন পেলে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের চেষ্টা করা হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এর আগে জানিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার সংসদে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল আমাদের প্রস্তুত রয়েছে। বিদ্যমান আইনে যেহেতু রয়েছে পরীক্ষা পূর্বক ফল প্রকাশ করতে হবে, কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী কোভিডের কারণে আমরা এবার পরীক্ষা নিতে পারিনি। বিশেষ পদ্ধতিতে ফলাফল দিতে চাচ্ছি। এজন্য আইনটি সংশোধন প্রয়োজন। মহান সংসদ থেকে আইনটি পাস করে দিলেই দ্রুততার সঙ্গে আমরা ফল প্রকাশ করতে পারব।

১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে। কিন্তু দেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যু হয় দেশে।

এ কারণে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। স্কুলে কলেজ বন্ধ থাকায় পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। ৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে। জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষিত হবে।

কিন্তু আইনে পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশের বিধান থাকায় গত বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আর ফল প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।

বিল উত্থাপন করে সংসদে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই বিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এইচএসসির ফলের জন্য শিক্ষার্থী-অভিভাবক সবাই অপেক্ষা করছেন এবং আমাদের ফল প্রস্তুতও আছে। কিন্তু যেহেতু আইনে পরীক্ষা গ্রহণপূর্বক ফল দেওয়ার বিষয়টি ছিল। এবার যেহেতু বৈশ্বিক সংকটের কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। আমরা বিকল্প একটি পদ্ধতিতে আগের দুটি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এই ফল দিতে যাচ্ছি সে কারণে বর্তমান আইনটি সংশোধন করার প্রয়োজন দেখা দেয়। সে কারণেই সংসদে বিলটি আনা হয়েছে।

বিল তিনটির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে বিশেষ পরিস্থিতিতে বা সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত কোনো অনিবার্য পরিস্থিতিতে কোনো পরীক্ষা নেয়া, ফল প্রকাশ ও সনদ দেওয়া সম্ভব না হলে সে ক্ষেত্রে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দিয়ে কোনো বিশেষ বছরে শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা ছাড়া বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নিয়ে ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত পদ্ধতিতে মূল্যায়ন ও সনদ দেওয়ার জন্য নির্দেশাবলি জারি করার বিষয় উল্লেখ রয়েছে।

তবে ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১ উত্থাপন নিয়ে সংসদে আপত্তি জানান জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। বিলটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিরোধীদলীয় এমপি।

পরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী তার অনুমোদন নিয়ে বিলটি তোলা হয়েছে বলে জানান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here