গৃহহীন রহিমা বেগমকে ঘরের টিল-নগদ অর্থ আর খাদ্য সামগ্রী দিলেন আলোকিত ছবির হোসেন

0
393
গৃহহীন রহিমা বেগমকে ঘরের টিল-নগদ অর্থ আর খাদ্য সামগ্রী দিলেন আলোকিত ছবির হোসেন

রতন আচার্য্য,ঝালকাঠি প্রতিনিধি : পাঁচ বছর ধরে ভেঙে পড়তে পড়তে বিলিন প্রায় রহিমা বেগমের শেষ আশ্রয় বসত ঘরটি। তীব্র শীত আর রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করেই খুপড়ির মধ্যে প্রতিবন্ধী স্বামীকে নিয়ে কাটছিল চরম দারিদ্রের সংসার। ফেসবুকে রহিমার জীর্ন কুটিরটির ছবি তুলে আপলোড করেন এলাকাবাসী। আর তা চোখে পড়ে ঝালকাঠির আলোকিত সমাজ সেবক মো: ছবির হোসেনের। তিনি দুই বান টিন, ঘর মেরামতের জন্য নগদ অর্থ আর খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ছুটে যান ওই অসহায় নারীর জীর্ন কুটিরে।

ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের জীবনদাশকাঠি গ্রামের রহিমা বেগম। ১৫ বছর আগে আর একমাত্র ছেলে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন। ঘরে পঙ্গু স্বামী আব্দুল মন্নাফের বিছানা আর হাসপাতালেই কাটে। তিন মেয়ে থাকলেও দরিদ্র পরিবারে তাদের বিয়ে হয়েছে। সম্পদ বলতে ৫ শতাংশের বসৎ ঘর ছাড়া আর কিছুই নেই। তাই কাজের বিনিময় খাদ্য কর্মসূচির রাস্তার মাটি কাটার কাজ করে সংসার চালাতে হয় রহিমা বেগমকে। কিন্তু গত ৫ বছর ধরে তাদের বসৎ ঘরটি ভেঙে পড়তে পড়তে প্রায় নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। ভেঙে পড়েছে চাল, নেই বেড়া। তবু এই মধ্যেই তীব্র শীত, রোদ-বৃষ্টি আর ঝর উপেক্ষা করে থাকতে হচ্ছে তাদের। চরম মানবেত এই দৃশ্য দেখে স্থানীয় এক ব্যক্তি ফেসবুকে ছবি তুলে আপলোড করনে। আর তা দেখে শনিবার সকালে ঝালকাঠি শহর থেকে ছুটে যান সমাজ সেবক ও যুবলীগ নেতা ছবির হোসেন। সাথে নিয়ে যান নতুন ঘরের জন্য দুই বান ঢেউটিন, ঘর মেরামতের জন্য নগদ অর্থ এবং খাদ্য সামগ্রী। সমাজের বিবেকবান মানুষ কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এই অসহায় নারীর পাশে না দাড়ালেও এগিয়ে এসেছেন আলোকিত যুবক ছবির হোসেন। তিনি এর আগেও অসহায় দরিদ্র মানুষকে ঘর তুলে দিয়ে, ব্যবসায় পুঁজি দিয়ে এবং করোনায় আর্থিক ও খাদ্য সামগ্রী দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েওেছন। এবার এই হতদরিদ্র নারীকে ঘর তুলে করে দিয়েছেন পুর্নবাসন।
সমাজ সেবক ও যুব লীগ নেতা,আলোকিত যুবক ছবির হোসেন বলেন, এটা আমার দায়িত্ব। মানুষকে কিছু দিতে পারলে আমি পরিতৃপ্তি পাই।

এদিকে ঘরের জন্য নতুন টিন, নগদ অর্থ আর খাদ্য সামগ্রী পেয়ে মহা আনন্দে ভাসছেন সেই অসহায় নারী রহিমা বেগম।
রতন আচার্য্য

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here