আজকের এইদিনে শার্শা’র আ’লীগ নেতা ফজলুর রহমানকে বোমা মেরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়

0
254
আজকের এইদিনে শার্শা’র আ’লীগ নেতা ফজলুর রহমানকে বোমা মেরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়

শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল : আজ শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমানের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকি। ২০১২ সালের এইদিনে বিএনপির সন্ত্রাসীরা তাকে বোমা মেরে নির্মমভাবে হত্যা করে।

জানাযায়, ১৯৬০ সালে ফজলুর রহমান বেনাপোলের বড়আঁচড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবকাল থেকেই তিনি ছিলেন ডানপিঠে ও সাদা মনের মানুষ। ভাবতেন সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার কথা। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন। স্বভাবচরিত্র আর সাহসিকতায় তিনি ছিলেন অন্যন্য। তার মিষ্টভাষীতায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বর্ষিয়ান নেতৃবৃন্দরা তাকে কাছে ডাকতেন, আদর করতেন। ভালোবাসা পেয়েছেন ততকালিন শার্শার লৌহমানব “এমপি” মরহুম তবিবুর রহমান সরদারের। ভালোবাসা পেয়েছেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ষিয়ান সভাপতি মরহুম হক সাহেবের। ভালোবাসা পেয়েছেন সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী আনু’র। সংস্পর্শ আর ভালোবাসা পেয়েছেন আওয়ামীলীগের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব মরহুম মোশারফ বিশ^াষ, জাহিদুল বিশ^াষ, আজিজ আহমেদসহ অনেক জ্ঞানী মানুষের। সকলের মন জয় করে ধীরে ধীরে তিনি রাজনৈতিক অঙ্গণে স্থান করে নেয়। অলঙ্কৃত করেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ।
সততা মনোবল আর সাহসিকতার সাথে সংগঠনের দ্বায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি বেনাপোলের ২য় বৃহত্তম বাণিজ্যিক সংগঠণ বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতি গঠণ করেন। অলঙ্কৃত করেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির পদ। সংগঠনের সঞ্চয়ের টাকায় বেনাপোল স্থলবন্দরের ২নং গেটের সামনে জমি ক্রয় করে স্থাপন করেন “বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতি ভবন”। যেখানে আজ সাক্ষাৎ মূর্তির ন্যায় দাড়িয়ে আছে বহুতল ভবন। আছে বিশাল বড় সংগঠণ। শার্শা উপজেলার এলাকার আনাচে কানাচে পড়ে আছে ফজলুর রহমানের অনেক স্মৃতি বিজড়িত সংগঠন, কেবল ফজলু সাহেব নেই। বেনাপোল কাস্টম হাউসের সামনে তার নিজস্ব ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে ২০১২ সালের এইদিনে আততায়ীরা বোমা মেরে নির্মমভাবে হত্যা করে ফজলুর রহমানকে।

মাগরিবের নামাজ পড়ে বাহিরে আসার সাথে সাথে শতশত মানুষের সামনে বিএনপির একদল সন্ত্রাস বাহিনী তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করল। কি অপরাধ ছিলো তার? স্তব্ধ হয়ে যায় বেনাপোলবাসী। ১০ হাজার লোকের সমাগম ঘটে আওয়ামীলীগের দূর্দিনের কান্ডারি সকলের প্রিয় ও শ্রদ্ধাভাজন ফজলুর রহমানের জানাযায়। অনেক পথ পাড়ি দিয়ে পরের দিন বেনাপোল এসে ¯েœহভাজন ফজলুর রহমানের কবর জিয়ারত করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বর্ষিয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদ।

বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তথা আততায়ীদের গুলিতে নিহত ফজলুর রহমানের সহোদর আলহাজ¦ বজলুর রহমান বলেন, আওয়ামীলীগের দূর্দিনের সময় ফজলুর রহমান ছিলেন ইস্পাতকঠিন ও মমতাময় আওয়ামী কর্মীবান্ধব নেতা। বিএনপিসহ ক্ষমতাসীন কোন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের লোভলালসা তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। তবে, তিনি বুঝতেন বিএনপির সন্ত্রাস বাহিনী তার রক্ত খেতে চায়। তাই, তিনি বারংবার পুলিশ সহযোগিতা চেয়েছিলেন কিন্তু একটি বারের জন্যও তাকে পুলিশিং সহযোগিতা দেওয়া হয়নি। নিয়তির কি নির্মম পরিহাস! বাংলাদেশ আওয়ামীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পরে অতিথি পাখিরা আওয়ামীলীগের সাথে সখ্যতা গড়া শুরু করে। এক অমানিশার ঘোরে ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি মাগরিবের নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here