খবর৭১ঃ আগামী ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে যে কোনো দিন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেশে আসছে। দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী শীর্ষ প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার মাধ্যমে দেশে আনার পর এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে ফেব্রুয়ারির শুরুতেই। প্রথম ধাপে আসা এ ভ্যাকসিন দেয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য খাতের ফ্রন্টলাইনারদের অগ্রাধিকার দেবে সরকার।
সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
অক্সফোর্ডের টিকা যৌথভাবে ভারতে উৎপাদন ও বিপণনের দায়িত্বে রয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট। আর বাংলাদেশে এই টিকা আনতে সেরামের সঙ্গে চুক্তি করেছে বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেড। চুক্তি অনুযায়ী তিন কোটি ডোজ টিকা দেবে সেরাম। বেক্সিমকো সেই টিকা সরকারের কাছে হস্তান্তর করবে। নিজেরাও বিপণন করতে পারবে।
ডা. খুরশীদ বলেন, ‘বেক্সিমকো ফার্মা আমাদের জানিয়েছে, আগামী ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে এই টিকা বাংলাদেশে আসবে। টিকা আসার পর দুই দিন বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে থাকবে। সেখান থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জেলায় টিকা পাঠিয়ে দেয়া হবে।
‘টিকা আসার পর ছয় মাসে দেড় কোটি মানুষকে তিন কোটি ডোজ দেয়া হবে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, প্রথম ধাপে আসবে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন।
কেন্দ্র ও টিকা গ্রহণের তারিখ এসএমএসের মাধ্যমে সবাইকে জানানো হবে বলে জানান তিনি। বলেন, তালিকাভুক্তদের আট সপ্তাহের ব্যবধানে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেয়া হবে।
মহাপরিচালক আরও বলেন, দ্বিতীয় ধাপে আসা ভ্যাকসিন দেয়ার ক্ষেত্রে সত্তরোর্ধরা অগ্রাধিকার পাবেন। আর সবার আগে ভ্যাকসিন পাবেন স্বাস্থ্যখাতের ফ্রন্টলাইনাররা।
দেশে প্রথম দফায় কারা করোনার টিকা পাবেন তাদের তালিকাও প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তালিকানুযায়ী কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যসেবায় সরাসরি সম্পৃক্ত সরকারি, বেসরকারি ও প্রাইভেট স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রথমে টিকা পাবেন।
এরপর রয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাষ্ট্র পরিচালনায় কর্মকর্তা-কর্মচারী, সংবাদমাধ্যমকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা।
এরপর বয়স অনুযায়ী সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার কর্মচারী, ধর্মীয় প্রতিনিধি, মৃতদেহ সৎকার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি, জরুরি পানি-গ্যাস-পয়ঃনিষ্কাশন-বিদ্যুৎ-ফায়ার সার্ভিস-পরিবহন কর্মী, স্থল-নৌ-বিমান বন্দর কর্মী, প্রবাসী শ্রমিক, জেলা-উপজেলায় জরুরি জনসেবায় সম্পৃক্ত সরকারি কর্মচারী, ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জনগোষ্ঠীরা করোনার ভ্যাকসিন পাবেন। এরপর ধীরে ধীরে দেশের সবাইকে করোনার ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। দেশে প্রথম দফায় কারা করোনার টিকা পাবেন তাদের তালিকাও প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তালিকানুযায়ী কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যসেবায় সরাসরি সম্পৃক্ত সরকারি, বেসরকারি ও প্রাইভেট স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রথমে টিকা পাবেন।