ঝালকাঠিতে ধর্ষণ মামলায় যুবককে ফাঁসানোর অভিযোগ

0
367
ঝালকাঠিতে ধর্ষণ মামলায় যুবককে ফাঁসানোর অভিযোগ

রতন আচার্য্য,ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির নলছিটিতে মো. মনির হোসেন (২২) নামের এক যুবককে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই যুবক ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় এক মাস ধরে কারাগারে আছেন। শনিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে তার পরিবারের পক্ষ থেকে নলছিটি সাংবাদিক ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করা হয়েছে।

ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ৬ নভেম্বর নলছিটি থানায় মামলা দায়ের করেন তার মা।

মনির হোসেন উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের মালোয়ার গ্রামের মো. খলিলুর রহমান হাওলাদারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর। আর ওই স্কুলছাত্রীর বাড়িও একই এলাকায়।

সংবাদ সম্মেলনে মনির হোসেনের মা হালিমা বেগম বলেন, মেয়েটি আমাদের প্রতিবেশী। এরআগেও মেয়েটির আত্মীয়-স্বজনরা একটি মিথ্যা অপহরণ মামলা দিয়ে আমাদের পরিবারকে হয়রানি করেছে। ওই মামলা আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার ভয়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় ফের আমার ছেলে মনির হোসেনকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়েছে।

তিনি বলেন, মামলা দায়েরের আগে মেয়েটির মা আমার ছেলের সঙ্গে তার মেয়েকে বিয়ে দেয়ার জন্য একাধিক ব্যক্তির মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠায়। আমরা প্রস্তাবে সম্মত না হওয়ায় গত ৫ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় একদল সন্ত্রাসী আমার ছেলেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ওই মেয়েটির বাড়ির উত্তর পাশের একটি বাড়িতে আটকে রাখে। সেখানে মেয়েটির পরিবার উপস্থিত হয়ে মনিরকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। মনির এতে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করে ওইদিন রাত ১টার দিকে তাকে পুলিশের তুলে দেয় মেয়েটির পরিবার। পরদিন সকালে মেয়েটির মা বাদি হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের এক সপ্তাহ আগে গত ২৬ অক্টোবর রাতে মেয়েটি তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে ধর্ষিত হয় বলে ওই মামলা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু আমি যদ্দুর জেনেছি, মেডিকেল রিপোর্টে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষণ পাওয়া যায়নি।

হালিমা বেগম আরও বলেন, মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে আমার ছেলে জেলহাজতে আছে। আমরা সমাজের কাছে প্রতিনিয়ত হেয় হচ্ছি। আর মামলার বাদী বিভিন্ন সময় আমাদের পুরো পরিবারের ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে আসছে। আমার ছেলে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালায়। এটা একটি ষড়যন্ত্র মামলা। আমি এই মামলার সঠিক তদন্ত দাবি করছি।

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম তালুকদার বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here