থমকে আছে শহরের পুরাতন খোয়াই নদী’র উচ্ছেদ অভিযান

0
291
থমকে আছে শহরের পুরাতন খোয়াই নদী’র উচ্ছেদ অভিযান

মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ অবৈধ দখল আর দূষণে ভরাট হয়ে যাওয়া পুরাতন খোয়াই নদী উচ্ছেদ কার্যক্রম থমকে গেছে। তবে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই আবারো উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এদিকে, উচ্ছেদ হওয়া এলাকাগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। মাছুলিয়া থেকে মার্কাজ মসজিদ পর্যন্ত বহুতল বিশিষ্ট ভবনগুলো ভেঙ্গে ফেলা হলেও আবারো অনেক ভবনই মাথা উচু করে দাড়াচ্ছে স্ব-মহিমায়। ভেঙ্গে ফেলা অংশ টুকু থেকে জোড়া তালি দিয়ে ভবনের মূল অংশের সাথে যুক্ত করে নিচ্ছেন এসব অবৈধ দখলদাররা।

তাই দ্রুত পুরাতন খোয়াই নদীর পূর্ণাঙ্গ সীমানা চিহ্নিতকরণ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ পুনরায় চালু, সংরক্ষণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের দাবী সচেতন মহলের। এছাড়াও একই দাবীতে কয়েকদিন পুর্বে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাপা হবিগঞ্জ নেতৃবৃন্দ। জানা যায়, দখল দূষণ আর ভরাট হয়ে শহরবাসির গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছিল শহরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পুরাতন খোয়াই নদীটি। নদীর পাড়সহ বিভিন্ন অংশে যে যার মত করে অবৈধ ভাবে দলখ করে রেখেছিল দীর্ঘদিন। আর এতে করে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই দুুর্ভোগে পড়তে হতো শহরবাসিকে। তাই শহরবাসির দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদের সময়কালীন শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান। মাছুলিয়া থেকে শুরু হয়ে মুসলিম কোয়ার্টার এলাকা পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। তবে এরপর তৎকালীন জেলা প্রশাসক মাহমুুদুল কবীর মুরাদের বদলী ও করোনার কারণে থমকে যায় উচ্ছেদ কার্যক্রম। আর এ সুযোগে তৎপর হয়ে উঠছে অবৈধ দখলদাররা।

গতকাল শুক্রবার মাছুলিয়া থেকে অনন্তপুর এলাকা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায় অনেক বহুতল ভবনের ভেঙ্গে ফেলা অংশ ফের ইট বালু দিয়ে মেরামত করাচ্ছেন ভবন মালিকরা। এমতাবস্থায় মূল ভবনের সাথে যুক্ত হচ্ছে ভেঙ্গে ফেলা অংশ টুকু। এতে করে পুর্বের ন্যায় আবারো পুরাতন খোয়াই দখল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়াও উচ্ছেদ হওয়া বিভিন্ন অংশে টিনের চাপটা তৈরী করে ফের পরিচালনা করা হচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। তাই সচেতন মহল মনে করছেন এখনই এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে নদীটি গলার কাটা হয়ে আবারো দাড়াতে পারে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান জানান, খুব শিগগির পুরাতন খোয়াই নদীর উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হবে। পূজা শেষে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here