কোভিডে এখন নিরাপদ বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

0
337
নভেম্বরেই করোনার ভ্যাকসিন পেতে পারে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী নভেম্বরেই করোনার ভ্যাকসিন পেতে পারে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী নভেম্বরেই করোনার ভ্যাকসিন পেতে পারে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

খবর৭১ঃ কোভিড-১৯ তথা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুহার বিবেচনায় প্রতিবেশি ভারত কিংবা ইউরোপ-আমেরিকার থেকেও বাংলাদেশ অনেক ভালো অবস্থায় আছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। প্রধানমন্ত্রীর সঠিক দিক নির্দেশনা ও দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে কোভিডে বাংলাদেশ এখন অনেকটাই নিরাপদ বলেও মনে করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

রাজধানীর শিশু হাসপাতালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২০’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রবিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মার্চ মাসে দেশে প্রথম কোভিড আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর মানুষ নানারকম জল্পনাকল্পনা শুরু করে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তখন বলা হতো বাংলাদেশে মানুষের লাশ রাস্তায় পড়ে থাকবে। করোনায় লাখ লাখ মানুষ মারা যাবে। অথচ বাংলাদেশে কোভিডে আক্রান্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার বিশ্বের সবচেয়ে কম দেশের কাতারেই রয়েছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুতে বাংলাদেশ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বা ইউরোপ,আমেরিকার থেকে অনেক ভালো অবস্থায় আছে।’

এবার সারাদেশের ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর সারা দেশের সকল ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র সমূহে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬ মাস থেকে ১ বছরের কম বয়সী প্রায় ২৭ লাখ শিশুকে নীল রঙের ১টি করে এবং ১ বছর থেকে ৫ বছর বয়সী প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ শিশুকে লাল রঙের ১টি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

আজকের প্রতিটি সুস্থ শিশুই আগামী দিনের উজ্জ্বল বাংলাদেশের কান্ডারি এজন্য আজকের শিশুকে টিকা দিলে সেই সন্তান ভবিষ্যতের সুস্থ ও মেধাবী সন্তান হবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই সন্তান ভবিষ্যত বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। একইভাবে এই টিকা না দেয়া হলে সন্তান নানা রোগে রোগাক্রান্ত হতে পারে। সন্তান হাবা-গোবা, বেটে হতে পারে। একটি রোগাক্রান্ত সন্তান একটি পরিবারের জন্য অনেক কষ্টের কারণ। তাই দেশে একটি শিশুও যেন রোগাক্রান্ত হয়ে না জন্মায় সেজন্য প্রতিটি এলাকার মায়েদের টিকাদান কেন্দ্রে পাঠাতে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে।’

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় করোনা সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডা. শহীদুল্লাহ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, লাইন ডিরেক্টর মুস্তাফিজুর রহমানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here