শিগগিরই জট খুলবে ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলারঃ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

0
338
শিগগিরই জট খুলবে ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলারঃ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

খবর৭১ঃ অতি অল্প সময়ের মধ্যেই দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার জট খুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এ জট উদ্ধারে পুলিশের চৌকস দল কাজ করছে। কারা এটি করেছে, পুলিশ তা বের করতে পারবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গুরুতর আহত ইউএনওকে ঢাকায় আনা হয়েছে। রংপুরে চিকিৎসাধীন তার বাবার জ্ঞান ফিরেছে। জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে গভীর রাতে নিজের সরকারি বাসভবনে হামলার শিকার দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমকে গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিকেল হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে।

ঢাকার জাতীয় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, তাকে ঢাকায় এনে প্রথমে সিএমএইচে নেয়া হয়েছে। সেখান থেকে আমাদের এখানে আনার কথা রয়েছে। আমরা প্রস্তুত আছি।

রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়হাব জানান, বেলা ১২টা ৪৭ মিনিটে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে একটি হেলিকপ্টার ওয়াহিদা খানমকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

তিনি বলেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তার উপর হামলার কারণ প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।

বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি বাসভবনে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।

ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ জানায়, বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে অবস্থিত ইউএনওর বাসভবনের টয়লেটের ভেল্টিলেটর ভেঙে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে।

ইউএনও টের পেলে দুর্বৃত্তরা তাকে সরাসরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এ সময় তার বাবা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা তাকেও আঘাত করে পালিয়ে যায়।

রাতেই রক্তাক্ত ইউএনওকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে সকালে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম ও পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল উপস্থিত হন।

ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, ঠিক কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত জানার পর এ বিষয়ে জানাতে পারবেন বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের স্বামী রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। ওয়াহিদা খানমের সঙ্গে বাবা ওমর আলী থাকতেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here