এখনও একাত্তরের সেই হায়েনার দলের বংশধররা বিরাজমান :: শেখ আফিল উদ্দিন এমপি

0
567
এখনও একাত্তরের সেই হায়েনার দলের বংশধররা বিরাজমান :: শেখ আফিল উদ্দিন এমপি

শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল :: যশোর-১ ( শার্শা) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের মহান স্থাপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশে জন্মেছিলেন বলেই আজ আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। নিজের ইচ্ছা মতো চলাফেরা করতে পারছি। দেশের সকল সরকারি বে-সরকারি চাকুরিতে যোগ্যতানুযায়ী চাকুরি করতে পারছি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী হতে পারছি। নইতো আমার মতো আফিল উদ্দিন আজ সংসদ সদস্য হিসেবে বক্তব্য দিতে পারতোনা। আমি কেন! আমার দেশের কোন মানুষ মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারতনা। দেশের ভালো কোন চাকুরি করতে পারতনা। বড় জোর আমার মতো ছেলে কোন পিয়ন পোস্টে চাকুরি করত। শুক্রবার বেলা ১১ টার সময় শার্শা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আয়োজনে বেনাপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার বর্গের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধাঞ্জলি ও যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৫-ই আগষ্ট উদযাপনের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে একথা বলেন তিনি।

শার্শা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত বর্ধিত সভায় শেখ আফিল উদ্দিন এমপি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের জীবন বাজি রেখে বাঙালী জাতির জন্য যে লাল সবুজের পতাকা উপহার দিয়েগেছেন তা একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে আমরা বঙ্গবন্ধুর ঋণ কোনদিন শোধ করতে পারবো না। তারপরেও একাত্তরের নীল নকশার রুপকার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পেতাত্মারা এদেশে দৃশ্যমান হয়ে থেকে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর দয়া গ্রহণ করেছিলেন। পরে সুযোগ বুঝে বঙ্গবন্ধুর মমতাকে ছুড়ে ফেলে বুলেটের নির্মম আঘাতে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছিলেন বাঙালী জাতির মানবিতা। এ ঘৃণা কার। এ কলঙ্ক কাদের? একদিকে বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে আমরা যেমন বিশ্বের দরবারে বীরের জাতি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি তদ্রুপ কিছু কুলাঙ্গারের কারণে বিশ্ববাসী আমাদেরকে ঘৃণার চোখে দেখে। তারা বলে, তোরা জন্ম দাতা পিতাকে হত্যা করেছিস। হত্যা করেছিস বঙ্গমাতাসহ তাঁর পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে। তোরা কি মানুষ?

এসময় সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, এখনও একাত্তরের সেই হায়েনার দলের বংশধররা বিরাজমান। তারা বিভিন্ন ছলচাতুরি করে বিভিন্ন দল গঠণসহ বঙ্গবন্ধুর যতেœ গড়া আওয়ামীলীগের সাথে মিশে আছে। তারা চাই যেকোনভাবে এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে। তাই, এখনই এদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। এরা সতর্ক। এরা হ্যামিলিনের বাঁশিওয়ালার মতো বাঁশি বাঁিজিয়ে এদেশের কোমলমতি মানুষদের জিম্মি করে ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই এখনই সময়, আমরা একযোগে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণীত হয়ে ১৫-ই আগষ্টের শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াব। রক্ষা করব বঙ্গবন্ধুর লাল সবুজের পতাকার মান।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান, বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব সালেহ আহমেদ মিন্টু, যুগ্ম সম্পাদক ও যশোর জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদ আসিফ-উদ-দৌলা অলোক, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ ওয়াহিদুজ্জামান অহিদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর হোসেন, ডেপুটি কমান্ডার নাসির উদ্দিন ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু।

উক্ত বর্ধিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব এনামুল হক মুকুল, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান ঘেনা, শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য অহিদুজ্জামান অহিদ, সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, সদর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোরাদ হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার, সাধারণ সম্পাদক ইকবল হোসেন রাসেল, বেনাপোল ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বজলুর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি তাহাজ্জেল হোসন, সাধারণ সম্পাক সাহিদুজ্জামান শহীদ, বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, লক্ষণপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম, আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, নিজামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আযাদ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, ডিহি ইউপি চেয়াম্যান হোসেন আলী, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান, উলাশী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আয়নাল হক, বাগআঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আযাদ, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইলিয়াস কবির বকুল, কায়বা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহমেদ টিংকু, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, গোগা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, পুটখালী ইউপি চেয়ারম্যান হাদিউজ্জামান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী যুবলীগের সকল নেতৃবৃন্দ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here