বড় শিল্পে প্রণোদনা ঋণের শর্ত আরও শিথিল

0
330
বড় শিল্পে প্রণোদনা ঋণের শর্ত আরও শিথিল

খবর৭১ঃ
করোনার প্রভাব মোকাবেলায় বড় শিল্প ও সেবা খাতে ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ দেয়ার শর্ত আরও শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

একই সঙ্গে প্রণোদনা প্যাকেজের মেয়াদ নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। অর্থাৎ চলতি বছরের ৪ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের ৩ আগস্ট পর্যন্ত এ প্যাকেজের মেয়াদ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করতে হবে এবং তা পরিশোধ করতে হবে।

এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার অর্থ পাওয়ার প্রক্রিয়াটি সহজ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতিমালা শিথিল করেছে।

করোনার প্রভাব মোকাবেলায় বড় শিল্প ও সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কম সুদে ও সহজ শর্তে চলতি মূলধনের জোগান দিতে ১২ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৩০ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা দেয়।

এর আওতায় সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্যোক্তাদের সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়ার কথা বলা হয়। এ ঋণের মোট সুদের হার হবে ৯ শতাংশ। বাকি সাড়ে ৪ শতাংশ ভর্তুকি হিসাবে দেবে সরকার। এ প্যাকেজের আওতায় ঋণ দিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তহবিলের জোগান দিতে ২৩ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১৫ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করে।
এ তহবিল থেকে ওই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ দিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫০ শতাংশ অর্থের জোগান দেয়া হবে। অর্থাৎ কোনো গ্রাহককে ১০০ কোটি টাকা ঋণ দিলে এর মধ্যে ৫০ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক জোগান দেবে এবং বাকি ৫০ কোটি টাকা দেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদ নেবে ৪ শতাংশ।

প্রণোদনা প্যাকেজটি ঘোষিত হওয়ার প্রায় চার মাস গেলেও ঋণ অনুমোদন হয়েছে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে বিতরণ করা হয়েছে মাত্র সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার প্রভাব থেকে অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করতে দ্রুত ঋণ বিতরণ করতে হবে। শিল্প খাতসহ সংশ্লিষ্ট সব অর্থনৈতিক খাতকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু ঋণ বিতরণ বাড়ানো যাচ্ছে না। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একের পর এক শর্ত শিথিল করে যাচ্ছে।

১২ এপ্রিল জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছিল, প্যাকেজের মেয়াদ হবে তিন বছর। কিন্তু তা সুনির্দিষ্ট করা ছিল না। বৃহস্পতিবার সার্কুলারে এর মেয়াদ সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে।

চলতি বছরের ৪ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের ৩ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। এর মধ্যেই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আলোচ্য প্যাকেজের আওতায় বিতরণ করা ঋণের বিপরীতে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা নিতে হবে এবং পরিশোধ করতে হবে।

একই সঙ্গে ওই সময়ের মধ্যেই সুদ ছাড় সুবিধা পাওয়া যাবে। ঋণের মেয়াদ এর বেশি হলে সুদ ছাড় পাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিজস্ব নীতিতে ঋণটি চলমান রাখতে পারবে। এক্ষেত্রে প্যাকেজের মেয়াদ বাড়ল চার মাস।

সার্কুলারে বলা হয়, পুনঃঅর্থায়নের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যে মাসে আবেদন করা হবে ওই মাসের শেষদিনে ঋণের স্থিতির বিপরীতে পুনঃঅর্থায়ন করা হবে।

এছাড়া পুনঃঅর্থায়নের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আবেদনের ক্ষেত্রে গ্রাহকের তথ্য-উপাত্ত জমা দেয়ার ক্ষেত্রেও ছাড়
দেয়া হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here