মধ্যাঞ্চলে বন্যার অবনতি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে উন্নতি

0
441
একে একে সব নদনদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম; বন্যা দীর্ঘ হওয়ার আশঙ্কা
ছবিঃ সংগৃহীত

খবর৭১ঃআগামী ২ দিন দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকতে পারে।

ভারতের পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় এমন আশা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে উজান থেকে পানি নেমে আসায় দেশের মধ্যাঞ্চলে চাপ বেড়েছে। এতে এ অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণের আশায় পথ চেয়ে থাকেন বানভাসি মানুষ। কোনো ত্রাণসামাগ্রী পাচ্ছেন না তারা। বেসরকারি কোনো সংস্থা বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে না। সরকারি যে ত্রাণ দেয়া হচ্ছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে বন্যার পানির তোড়ে ব্রিজের অ্যাপ্রোচ বিলীন হয়ে গেছে। বন্যার পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির ফলে অনেক জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বন্যাকবলিত মানুষকে।

বাড়িতে পানি ওঠায় প্রাণিসম্পদ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষক। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে বন্যার পানিতে ডুবে এক মুক্তিযোদ্ধা ও সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা চত্বরে হাঁটুপানি পানি জমেছে। জেলার নিম্নাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) : মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে বন্যার পানির তোড়ে দুটি ব্রিজের অ্যাপ্রোচের একাংশ বিলীন হয়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে।

পদ্মার প্রবল স্রোতে কামারখাড়া ইউনিয়নের নসংকর গ্রামের পাশাপাশি থাকা দুটি ব্রিজের একাংশ বিলীন হয়ে কামারখাড়া, হাসাইল ও দিঘিরপাড় ইউনিয়নের যোগাযোগ মারাত্মক বিপর্যয় ঘটেছে।

ব্রিজের অ্যাপ্রোচ বিলীন হয়ে ২৫-৩০ ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই অঞ্চলের নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ অর্ধলক্ষ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।

টাঙ্গাইল : যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় টাঙ্গাইল জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুর এলাকায় বন্যার তীব্র পানির স্রোতে শহররক্ষা বাঁধ ভেঙে গিয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

এ ছাড়াও টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর, ভূঞাপুর, দেলদুয়ার ও কালিহাতী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বন্যার পানির তোড়ে সড়ক ও বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পাওয়ায় বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বন্যায় জেলার ৩০টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার প্রায় দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

ফরিদপুর : ফরিদপুর জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি ২৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে এখন বিপৎসীমার ৮১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

২য় দফায় পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল, চরমাধদিয়া, ডিক্রিরচর আলিয়াবাদ ও ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি রাস্তা তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার কয়েকশ’ হেক্টর জমির ফসল ও সবজিক্ষেত নষ্ট হয়েছে।

এদিকে পদ্মা, মধুমতি ও আড়িয়াল খাঁর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফরিদপুর সদর উপজেলা ছাড়াও সদরপুর ও চরভদ্রাসন, আলফাডাঙ্গা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আরও কয়েকটি গ্রাম। এই চারটি উপজেলার ৩০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে গোখাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট।

মানিকগঞ্জ : ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি আরিচা পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পানিবিজ্ঞান শাখা) পানির স্তর পরিমাপক মো. ফারুক আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

যমুনা নদীতে তীব্র গতিতে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার শিবালয়, দৌলতপুর ও ঘিওর উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী ও খাল-বিলে পানি প্রবেশ করছে।

পানি উঠে পড়েছে হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমা মোস্তারী বলেন, উপজেলায় ৫টি ইউনিয়নের ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়েছে।

দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী (জামালপুর) : দেওয়ানগঞ্জ যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানিতে পৌর এলাকার কামিল মাদ্রাসা, থানাসহ আট ইউনিয়নে দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

দুর্গত লোকজন রেলস্টেশনের পরিত্যক্ত ওয়াগনে আশ্রয় নিয়েছেন। সড়কে কোথাও কোথাও কোমরপানি, কোথাও গলাপানি। দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাট যমুনা নদীতে চব্বিশ ঘণ্টায় ২ সে. মি. পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১২৯ সে. মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

বন্যার পানিতে ডুবে মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক নুরুল ইসলাম হিরুর (৬৫) মৃত্যু হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় এ ঘটনা ঘটে। বকশীগঞ্জ উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে।

উপজেলার বগারচর, সাধুরপাড়া, মেরুরচর ও নিলাক্ষীয়াসহ চারটি ইউনিয়নের প্রায় ৭০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৫০ হাজার মানুষ।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হাসান মাহবুব খান বলেন, ঈদুল আজহায় ৪২৪ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মাদারগঞ্জে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার ৭ ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সরিষাবাড়ীতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে এবং বাড়িঘরে বন্যার পানিসহ তলিয়ে গেছে রেললাইন।

শাহজাদপুর ও চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) : সিরাজগঞ্জের চৌহালীর পূর্ব খাষকাউলিয়া গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে সাবিয়া খাতুন (২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি স্থানীয় ট্রাঙ্ক মিস্ত্রি আবু সাঈদের ছোট মেয়ে।

চৌহালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মজনু মিয়া জানান, বানের পানিতে ডুবে মৃত শিশুটির পরিবারকে সরকারি সহায়তা দেয়া হবে। শাহজাদপুর উপজেলার যমুনাসহ সব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে এ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৮ সেন্টিমিটির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

কুড়িগ্রাম, রৌমারী ও চিলমারী : কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ধরলা তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র দুধকুমারসহ প্রতিটি নদীর পানি সামান্য কমলেও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।

ব্রহ্মপুত্রের প্রবল স্রোতে রৌমারী উপজেলা শহররক্ষা বাঁধ ভেঙে উপজেলা চত্বরসহ নতুন করে ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বুধবার রাতে শহররক্ষা বাঁধটি ভেঙে প্লাবিত হয়। রৌমারী বাজার ও উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালত পানিতে তলিয়ে গেছে।

চলতি বন্যায় জেলায় প্রায় ৬ কোটি টাকার মাছের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কাপ্তিলপদ রায়। সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলায় ৮৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। রাজিবপুর উপজেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। রাজিবপুর উপজেলা চত্বরেও পানি উঠেছে।

চিলমারীতে ২য় দফায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও বানভাসিদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, শুকনা খাবার, গোখাদ্য ও স্যানিটেশনের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এতে নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৬৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

গাইবান্ধা : গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি স্থিতিশীল আছে। তবে করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি স্থির থেকে তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে বর্তমানে বিপৎসীমার ১১৮ সেমি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

অপরদিকে ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহর পয়েন্টে সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টায় অপরিবর্তিত থেকে বর্তমানে বিপৎসীমার ৯৩ সেমি. ওপর দিয়ে বইছে।

এদিকে করতোয়া নদীর পানি গত ৯ ঘণ্টায় গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী পয়েন্টে ৩৫ সেমি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১০ সেমি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলার করতোয়া নদী তীরবর্তী এলাকায় ঘরবাড়িতে পানি উঠতে শুরু করেছে।

নওগাঁ : নওগাঁর আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কয়েকটি জায়গা ভেঙে জেলার রানীনগর, আত্রাই ও মান্দা উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

সিলেট : সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জেলার দুটি পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে কুশিয়ারা আর একটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে সুরমা নদীর পানি।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। দুপুর ১২টায় সিলেট পয়েন্টে সুরমার পানিপ্রবাহ ছিল ১০.৫৬ মিটার, যা বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার নিচে।

কুশিয়ারা নদীর পানির উচ্চতা আমলশিদ পয়েন্টে বুধবার সন্ধ্যায় ১৫.৮২ মিটার ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় উচ্চতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬.১২ মিটারে, যা বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ওপরে।

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি দুপুর ১২টায় প্রবাহিত হয় ৯.৯৬ মিটার। এ পয়েন্টে বিপৎসীমা ৯.৪৫ মিটার। অর্থাৎ এ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে সুরমাসহ সব নদী-নালা, হাওর, খাল-বিলের পানি কমতে শুরু করলেও দুর্ভোগ বাড়ছে চরমে।

রোববার থেকে তেমন বৃষ্টিপাত না হলেও মঙ্গল ও বুধবার রাতভর মুষলধারে আবারও বর্ষণ শুরু হয়। কিন্তু ভাটিতে পানির টান না থাকায় নিম্নাঞ্চলের পানি এখনও স্থিতিশীল রয়েছে।

উপজেলা সদরের সঙ্গে বিভিন্ন ইউনিয়নের সংযোগ সড়কগুলোর অবস্থা এমনিতেই ছিল নাজুক, তার ওপর লাগাতার ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে প্রথম দফা বন্যার পানি না নামতেই সপ্তাহকালের ব্যবধানে ফের বন্যায় যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’।

এদিকে দোয়ারাবাজার-বগুলাবাজার সড়কের ভাঙনের ফলে লক্ষ্মীপুর, সুরমা ও বাংলাবাজার (আংশিক) ইউনিয়নের অন্তত অর্ধশতাধিক গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here