উইঘুর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা নিষেধাজ্ঞা চীনের

0
365
উইঘুর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা নিষেধাজ্ঞা চীনের

খবর৭১ঃ
দেশটির শিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম নিপীড়নের অভিযোগে ৪ চীনা কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বেইজিং। এর মধ্যে রয়েছেন দুই মার্কিন সিনেটরও।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং সোমবার নিষেধাজ্ঞার তালিকা প্রকাশ করেছেন। নিষেধাজ্ঞায় পড়া মার্কিন কর্মকর্তারা হচ্ছেন- সিনেটর ট্রেড ক্রুজ, সিনেটর মার্কো রুবিও, প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ক্রিস স্মিথ এবং আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক অ্যাম্বাসেডর এট লার্জ স্যাম ব্রাউনব্যাক।

এছাড়া, চীন বিষয়ক মার্কিন কংগ্রেসনাল-এক্সেকিউটিভ কমিশনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এ কমিশন চীনে মানবাধিকার ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার বিষয়টি দেখভাল করে এবং এ সংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ কংগ্রেসেকে দিয়ে থাকে।

চীন শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার লংঘন করছে অভিযোগ করে চীনা কর্মকর্তাদের ওপর সদ্যই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

চীনের জন্য শাস্তিমূলক এ পদক্ষেপে ভূমিকা রেখেছিলেন সিনেটর রুবিও এবং ক্রুজ দুইজনই।

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ক্রিস স্মিথও শিনজিয়াং ইস্যু থেকে শুরু করে হংকং এবং করোনাভাইরাসসহ সব বিষয়েই চীনের সমালোচনায় সরব। এ তিন মার্কিন কর্মকর্তাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির সদস্য।

সোমবার দৈনিক এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড চীনের অভ্যন্তরীন বিষয়ে মারাত্মক হস্তক্ষেপ। এতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূলনীতি লঙ্ঘিত হওয়া ছাড়াও চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

পরিস্থিতি বিবেচনায় চীন পরবর্তীতে আরও পদক্ষেপ নেবে বলে জানান তিনি। নিষেধাজ্ঞার আওতায় মার্কিন কর্মকর্তাদের ওপর কি কি বিধিনিষেধ প্রযোজ্য হবে সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি হুয়া।

তবে চীনা কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে মার্কিন কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই কর্মকর্তাদের লেনদেন নিষিদ্ধ হওয়াসহ তাদের সম্পদ জব্দ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণও নিষিদ্ধ রয়েছে।

পশ্চিমা বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং জাতিসংঘও দীর্ঘদিন ধরে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অসংখ্য মানুষকে আটক, ধর্মীয় নিপীড়ন করাসহ নারীদেরকে জোর করে বন্ধ্যা করানোর অভিযোগ করে আসছে।

তবে চীন শুরু থেকেই শিনজিয়াংয়ে মুসলিমদের উপর নির্যাতন, নিপীড়নের সব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here