প্রায় সব রেমডেসিভির আগাম কিনে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

0
298
প্রায় সব রেমডেসিভির আগাম কিনে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

খবর৭১ঃ আগামীতে যত রেমডেসিভির সরবরাহ করা হবে, তার প্রায় শতভাগই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন কেনা নিশ্চিত করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর চিকিৎসায় কার্যকরী ওষুধ হিসেবে গিলিয়াড সায়েন্সেসের তৈরি রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।

এই ওষুধের প্রয়োগ বেশী অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে থাকার সময়কাল চার দিন পর্যন্ত কমাতে পারে।যুক্তরাষ্ট্রের হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয় যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গিলিয়াড সায়েন্সের সঙ্গে ‘চমকপ্রদ’ এক চুক্তি চূড়ান্ত করেছেন, যার আওতায় গিলিয়াডের চলতি জুলাই মাসে উৎপাদন করা পাঁচ লক্ষ ডোজের শতভাগ এবং আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে উৎপাদিত ওষুধের ৯০ শতাংশ কিনে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় গড়ে রেমডেসিভিরের ৬.২৫টি ভায়াল প্রয়োজন হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে রেমডেসিভিরের পেটেন্টের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের- অর্থাৎ গিলিয়াড সায়েন্সের- আগামী তিন মাসের উৎপাদিত হতে যাওয়া রেমডেসিভিরের প্রায় পুরোটাই আগাম কিনে ফেলেছে দেশটি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে যা পরিমাণ রেমডেসিভির সরবরাহ করা হবে, তার প্রায় সবটাই যুক্তরাষ্ট্র কিনে নিচ্ছে। রেমডেসিভিরের পেটেন্টের মালিকানা গিলিয়াড সায়ন্সেস এর অর্থাৎ শুধুমাত্র তাদেরই এই ওষুধ তৈরির অধিকার রয়েছে।

কিন্তু জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় নাম থাকায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতি অনুযায়ী এই ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে ওই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের ওপর প্রযোজ্য হবে না। বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন আটটি স্থানীয় ওষুধ কোম্পানিকে রেমডেসিভির তৈরির অনুমোদন দিয়েছে।

বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে রেমডেসিভির উৎপাদন করে বিক্রিও শুরু করছে বলে জানা গেছে। ওষুধটি প্রথমে ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।

ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় দেখা গেছে, নভেল করোনাভাইরাসসহ আরো কিছু ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করে যেভাবে বংশবৃদ্ধি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে, সেই প্রক্রিয়াটি কিছুটা হলেও থামানোর সক্ষমতা রয়েছে এই ওষুধের।

বলা হচ্ছে, এই ওষুধের প্রয়োগ বেশী অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে থাকার সময়কাল চার দিন পর্যন্ত কমাতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here