রতন আচার্য্য,ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) আহম্মেদ হাছান তার কর্ম দক্ষতায় অর্জন করলেন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘শুদ্বাচার পুরস্কার ২০২০’। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সুগন্ধা সভাকক্ষে সারম্বরে অনুষ্ঠিত হয় এ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। ঝালকাঠি জেলায় উত্তম শুদ্ধাচার চর্চায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণের পুর্বে জেলা প্রশাসন ঝালকাঠি’র উদ্যোগে ২৪ জুন বুধবার দিনব্যাপী শুদ্ধাচার কৌশল বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী শুদ্ধাচার চর্চায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
জেলা পর্যায়ে ৫-১০ গ্রেড কর্মকর্তাদের মধ্যে আহম্মেদ হাছান এ পুরস্কারে ভূষিত হন। চট্রগ্রাম বিভাগের বাঁশখালী উপজেলার কৃতিসন্তান আহমেদ হাছান চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিং বিষয়ে বি.বিএ এবং এম.বিএ ডিগ্রি অর্জন করে ৩৭ তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে সফলতার সাথে উর্র্ত্তীণ হয়ে যোগদেন প্রশাসন ক্যাডারে। বর্তমানে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে নেজারত ডেপুটি কালেক্টরের (এনডিসি) পদে সুমামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। করোনা সংক্রমন পরিস্থিতি, ঘুর্নিঝড় পুর্ব ও পরবর্তী কার্য সম্পাদনে সরকারের নির্দেশনা পালনে আহম্মেদ হাছানের ভুমিকা ছিলো চোখে পড়ার মত। তাকে এই পুরস্কারে ভুষিত করায় জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী এবং বাছাই কমিটি ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানিয়েছে সুধীজনরা। এছাড়াও ঝালকাঠিতে ১১-২০ গ্রেডের মধ্যে ঝালকাঠি জেলা প্রশান কার্যালয়ের অফিস সহায়ক শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং উপজেলা পর্যায়ে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহাগ হাওলাদারকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, ‘সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল’ শিরোনামে সরকারের মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা রাষ্ট্রীয় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পুরস্কার প্রদানের উদ্দেশ্যে ২০১৭ সনে শুদ্ধাচার পুরস্কার নীতিমালা প্রণয়ন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। গেজেটে এই পুরস্কারের ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, ‘প্রতিবছর সরকারের শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্তরা পুরস্কার হিসেবে একটি সনদ এবং এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ পাবেন।’ গেজেটে আরো উল্লেখ রয়েছে যে শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিতদের ১৮টি গুণাবলি থাকতে হবে। এগুলো হচ্ছে- নিজের পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা, কর্মস্থলে সততার নিদর্শন স্থাপন করা, নির্ভরযোগ্যতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা, শৃঙ্খলাবোধ, সহকর্মীদের সঙ্গে শুভ আচরণ, সেবাগ্রহীতার সঙ্গে শুভ আচরণ, প্রতিষ্ঠানের বিধিবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, সমন্বয় ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক নিরাপত্তা সচেতনতা, ছুটি গ্রহণের প্রবণতা, উদ্ভাবনী চর্চার সক্ষমতা, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে তৎপরতা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, স্বপ্র্রণোদিত তথ্য প্রকাশে আগ্রহ, উপস্থাপন দক্ষতা, ই-ফাইল ব্যবহারে অগ্রহ এবং অভিযোগ প্রতিকারে সহযোগিতা করা।