পরবর্তী মহামারি রুখতে মশার থুতু থেকে তৈরি হচ্ছে ভ্যাক্সিন

0
393
পরবর্তী মহামারি রুখতে মশার থুতু থেকে তৈরি হচ্ছে ভ্যাক্সিন

খবর৭১ঃ করোনাভাইরাস মহামারিতে জর্জরিত বিশ্ব। ভ্যাক্সিন খুঁজতে দিন-রাত এক করে গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। হয়ত অদূর ভবিষ্যতেই সেই ভ্যাক্সিন মুক্তি দেবে এই মহামারি থেকে। কিন্তু শধু করোনা নয়, ভবিষ্যতে অপেক্ষা করছে আরও অনেক মহামারি। সেসব মহামারি রুখতে এখনই কাজ শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা।

জেসিকা ম্যানিং নামে যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষক বছর পাঁচেক আগে এক বিশেষ পরিকল্পনা করেন। বারবার পৃথিবী আক্রান্ত হয় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মত মশাবাহিত রোগে। এসব মশাবাহিত রোগ থেকে মুক্তি পেতে এক বিশেষ টীকার অনুসন্ধান শুরু করেছেন তিনি। সেই প্রতিষেধক তৈরি হবে মশার থুতু থেকে। খবর রয়টার্সের।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যালার্জির ‘ইনকেফশাস ডিজিজ’ সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষক ম্যানিং। তিনি বিশ্বাস করেন মশার স্যালাইভা থেকে এমন এক ভ্যাক্সিন তৈরি করা সম্ভব যা একসঙ্গে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, ওয়েস্ট নিল, মায়ারো ভাইরাসের মত একাধিক রোগ থেকে মুক্তি দেবে।

সম্প্রতি ওই গবেষণার একটি প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রথমবার ওই মশাবাহিত রোগের ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হয়েছে মানুষের উপর। ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে অ্যানোফিলিস মশা থেকে তৈরি একটা ভ্যাক্সিন বেশ নিরাপদ, অ্যান্টিবডি তৈরিতেও সক্ষম। তার এই গবেষণার প্রশংসা করেছেন অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা। কারণ, মশাকে বিশ্বের অন্যতম মারাত্মক পতঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব বলছে, ‘ম্যালেরিয়ায় প্রত্যেক বছর ৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। বিশেষত গরিব দেশগুলোতে এর প্রবণতা অনেক বেশি। আর গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে মশা তাদের বাসস্থান ছেড়ে অন্যান্য দেশে ঘাঁটি গাড়তে শুরু করেছে। ফলে রোগ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here