খবর৭১’ সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও জাতীয় সংসদের অধিবেশন ডেকেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। আগামী ১৮ এপ্রিল বসবে একাদশ জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশন। তবে এই অধিবেশন হবে ইতিহাসের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত। মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হতে পারে এই অধিবেশন।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, আগামী শনিবার বিকাল ৫টায় শুরু হয়ে ৬টার মধ্যে অধিবেশন শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বয়স্ক ও শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ নন এমন সাংসদদের এই অধিবেশনে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হবে।
ঢাকায় অবস্থানরত এবং ঢাকার আশপাশের সংসদীয় এলাকার সাংসদদের উপস্থিতির ওপর জোর দিয়ে হুইপদের কাছে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
সংসদের বৈঠকের কোরাম পূরণ করতে সর্বনিম্ন ৬০ জনের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। তাই ওই হিসাব মাথায় রেখে এমপিদের অধিবেশনে যোগ দিতে বলা হচ্ছে।
সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে শুধু নিরাপত্তারক্ষী ও বৈঠকের ভেতরে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব থাকবে তারাই ঢুকতে পারবেন।
জাতীয় সংসদের হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন জানান, ঢাকায় অনেক এমপি অবস্থান করছেন। এজন্য কোরামের বিষয়টি তারা ভাবছেন না।
সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত ৬ এপ্রিল এই অধিবেশন আহ্বান করেন। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের (৩) দফার (ক) উপদফায় উল্লেখ আছে- ‘প্রথম সংসদের এক অধিবেশনের সমাপ্তি ও পরবর্তী অধিবেশনের প্রথম বৈঠকের মধ্যে ৬০ দিনের অতিরিক্ত বিরতি থাকবে না।’
ফলে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় একাদশ সংসদের সপ্তম অধিবেশন বসছে ১৮ এপ্রিল। ওইদিন বিকাল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হবে।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশন শুরু হয়। সেই হিসাবে ১৮ এপ্রিল ৬০ দিনের সময়সীমা।