করোনার চিকিত্সায় পুরোনো ওষুধে সাফল্য!

0
442
করোনার চিকিত্সায় পুরোনো ওষুধে সাফল্য!

চীনের মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে জাপানের তৈরি ইনফ্লুয়েঞ্জার ওষুধ ফেভিপিরাভির করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে কার্যকর বলে প্রতীয়মান হয়েছে। খবর দি গার্ডিয়ান পত্রিকার

চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ঝেং জিনমিন বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, জাপানের ফুজিফিল্ম টয়ামা কেমিক্যালের তৈরি একটি ওষুধ উহান ও শেনঝেনের ৩৪০ জন রোগীর ওপর প্রয়োগ করে খুবই ভালো ফল পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, এটি খুবই নিরাপদ ও কার্যকর। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের ওপর এটি প্রয়োগ করার চারদিনের মাথায় তাদের শরীরে করোনা ভাইরাস নেগেটিভ হয়েছে। অন্য ওষুধে ১১ দিনে ফল পাওয়া গিয়েছিল। উপরন্তু ফেভিপিরাভির নামক ওষুধ যা আভিগান নামেও পরিচিত প্রয়োগের পর ৯১ ভাগ রোগীর ফুসফুসের নিশ্চিত উন্নতি পরিলক্ষিত হয়েছে। অন্য ওষুধের ক্ষেত্রে যা পাওয়া গেছে ৬২ ভাগ।

ওষুধটি ফুুজিফিল্ম টয়োমা ২০১৪ সালে আবিষ্কার করেছিল। তবে কোম্পানিটি এ ব্যাপারে এখনো মন্তব্য করেনি। বুধবার ঝেং এর এই মন্তব্যের পর কোম্পানিটির শেয়ারের দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। জাপানের ডাক্তাররাও করোনার মৃদু লক্ষণ দেখা দেওয়া রোগীদের ওপর এই ওষুধ প্রয়োগ করছিল ভালো ফল পাওয়ার আশায়। তাদের ধারণা ছিল এর প্রয়োগ রোগীর দেহে ভাইরাস বৃদ্ধিতে বাধা দেবে।

তবে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছিল প্রবলভাবে করোনার লক্ষণ দেখা দেওয়া রোগীর ক্ষেত্রে ফেভিপিরাভির খুব একটা কার্যকর হবে না। তারা জানায় ৭০-৮০ জন রোগীকে তারা এই ওষুধ দিয়েছিল। যাদের শরীরে ভাইরাসটি অনেক বেড়ে গেছে তাদের ওপর ওষুধটি ভালো কাজ করেনি। এইচআইভির ওষুধ লপিনাভির এবং রিটোনাভিরেরও করোনার রোগীর ক্ষেত্রে একই ধরনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

২০১৬ সালে গিনিতে ইবোলা ভাইরাসের প্রকোপের পর জাপান সরকার সেখানে ফেভিপিরাভির সরবরাহ করেছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here