ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ

0
505

খবর৭১ঃ ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ।ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। শনিবার সকাল থেকেই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, কমলাপুর রেলস্টেশন ও গাবতলীসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনালে ছিল ঢাকামুখী মানুষের ভিড়।

প্রায় দুই কোটি মানুষের ঢাকা মহানগরী ঈদের ছুটিতে ছিল বেশ ফাঁকা।রোববার থেকে অফিস-আদালতে কর্মচাঞ্চল্য শুরু হবে।তাই পরিবার নিয়ে শনিবার থেকেই রাজধানীতে ফিরতে শুরু করছেন লোকজন।

বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে। বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন, সদরঘাটে ক্রমেই চাপ বাড়ছে।

তবে বাড়তি ছুটি নিয়ে বাড়ি যাওয়া লোকজন ফিরছে ধীরে ধীরে।এক সপ্তাহের আগে স্বাভাবিক চাঞ্চল্য ফিরবে না রাজধানীতে এমনটিই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে ঈদ উপলক্ষে যতোদিন যাত্রীর চাপ থাকবে ততোদিন পর্যন্ত ট্রেনের বিশেষ সেবা চলবে বলে জানিয়েছে কমলাপুর রেল স্টেশন কর্তৃপক্ষ।

দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ঈদের আগে মানুষকে নিরাপদে যেভাবে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি সেভাবেই নিরাপদে কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনার সব প্রস্তুতি রয়েছে। ঈদের আগে যেসব বিশেষ ট্রেন চলাচল করেছে, সেগুলো এখনো চলছে।’

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন দক্ষিণাঞ্চলের ৪৪টি রুটে ৯০-৯৫টি লঞ্চ চলাচল করছে।

ঈদের আগে সদরঘাট টার্মিনালে যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হলেও ফিরতি যাত্রায় এখনও কোন ভোগান্তির চিত্র চোখে পড়েনি। অনেকটা আরামেই ঢাকা ফিরছেন ঈদযাত্রীর।

তবে উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরতে টাঙ্গাইল থেকে গাজীপুর পর্যন্ত কিছুটা বেগ পোহাতে হয়েছে ঢাকামুখী মানুষকে।
শনিবার সকাল থেকে নৌপথে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। কর্মস্থলে যোগ দিতে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ঢল নামে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ঘাটে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেককেই লঞ্চ ও স্পিডবোটে করে পার হতে দেখা গেছে।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দুই প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ও দৌলতদিয়া ঘাটে রাজধানীমুখী মানুষের ঢল নামে।ফলে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্র জানায়, ঈদের ছুটি শেষে আবার ব্যস্ত হয়ে উঠেছে কাঁঠালবাড়ী ঘাট। ঈদ ফিরতি যাত্রায় যাত্রী দুর্ভোগ এড়াতে বাড়ানো হয়েছে ফেরি সংখ্যাও।

এর আগে ১৮টি ফেরি থাকলেও শুক্রবার থেকে আরও ৩টি যোগ হয়ে মোট ২১টি ফেরি চলছে।

এছাড়া ৮৭ টি লঞ্চ, ২ শতাধিক স্পিডবোট রয়েছে। আবহাওয়া বৈরী হয়ে উঠলে ফেরিতে যাত্রীচাপ বেড়ে যায়। শনিবার সকাল থেকেই ব্যক্তিগত ছোট পরিবহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে ফেরিঘাট এলাকায়।

ঢাকাগামী যাত্রী মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলেতো ফিরতেই হবে। তাই ভোগান্তির মধ্যেই ঢাকায় ফিরছি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের ( বিআইডব্লিউটিসি) কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আবদুস সালাম মিয়া বলেন, ঘাটে পর্যাপ্ত ফেরি রয়েছে। পরিবহনের চাপ বাড়লেও ঘাট এলাকায় স্বাভাবিকভাবেই গাড়ি ফেরিতে উঠছে। কোনো ধরনের ভোগান্তি নেই।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। তবে লঞ্চে শৃঙ্খলার সঙ্গে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।

এদিকে দৌলতদিয়া ঘাটে ছিল যাত্রী ও যানবাহনের উপচেপড়া ভিড়। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে হাজার হাজার মানুষকে বয়ে আনা শত শত যানবাহনের চাপে দৌলতদিয়া ঘাটে যানজটের সৃষ্টি হয়।

ঢাকাগামী যাত্রীরা জানান, ফরিদপুর থেকে লোকাল গাড়িতে এসেছি। মহাসড়কে যানজট থাকার কারণে দূরে আমাদের নামিয়ে দেয়া হয়েছে। এরপর ব্যাগ নিয়ে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে হেঁটে ঘাটে পৌঁছতে হয়েছে।

ঢাকাগামী যশোরের আজমল বলেন, যানজটের কারণে দৌলতদিয়া ঘাটে বসে আছি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আজমল হোসেন জানান, যাত্রীদের ভোগান্তি কিছুটা কমাতে তারা ফেরিতে দু’একটি বাস ছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রী পারাপার করছেন। এতে করে মহাসড়কে গাড়ি আটকা পড়ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here