খবর ৭১ঃ সেনাবাহিনী ও বিক্ষোভকারীরা অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনা নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছার পর সুদানের রাজধানী খার্তুমে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে চার বিক্ষোভকারী ও সেনাবাহিনীর একজন মেজর। সোমবার প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস থেকে বলা হয়, ৩০ বছর পর ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভের সময় নিহত বিক্ষোভকারীদের হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘোষণার পরই সেখানে সহিংসতা দেখা দেয়। খার্তুমে সেনাবাহিনীর প্রধান কার্যালয়ের বাইরে কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্যাম্প করে সেখানে বিক্ষোভ করছে বিক্ষোভকারীরা। তারা ওমর আল বশিরের পর ক্ষমতা নেয়া জেনারেলদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছেন, বেসামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে। এ নিয়ে সহিংসতা ক্রমশ বাড়ছে। সোমবারের ওই সহিংসতায় আহত হয়েছেন তিনজন সেনা সদস্য, বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী ও বেসামরিক মানুষ। বলা হয়েছে, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ওই অবস্থান ধর্মঘটের দিকে গুলি ছুড়ছে এ ঘটনা ঘটে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। ওদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, এর আগে ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিল ঘোষণা করেছিল যে, তারা ওমর আল বশিরের ৫ ভাইয়ের মধ্যে দু’জনকে- আবদুল্লাহ হাসান আল বশির এবং আল আব্বাস হাসান আল বশিরকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু মঙ্গলবার তারা সংশোধিত ঘোষণা দিয়েছে। বলেছে, ওই দুই ভাইয়ের মধ্যে একজনকে তারা আটক করে নি। তিনি তাদের হেফাজতে নেই। সামরিক কাউন্সিলের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল শামসেদ্দিন কাবাশি বলেছেন, প্রথমে যে বিবৃতি দেয়া হয়েছিল তা ঠিক ছিল না। তিনি ১৭ই এপ্রিল ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, আবদুল্লাহ হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু পরের দিন আল আব্বাসকে দেখা যায় প্রতিবেশী দেশের সীমান্তে। এ বিষয়ে কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে বলেন, সুদান কর্তৃপক্ষ ওই দেশটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং তাকে ফেরত পাঠানো রঅনুরোধ করেছে। এরপর খবর প্রকাশিত হয যে আল আব্বাস তুরস্কে অবস্থান করছেন।