খবর৭১ঃ কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে সড়ক দুর্ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) রৌশন আরা বেগমের মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আছাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) বাদ জোহর রৌশন আরা বেগমের মরদেহ দেশে আনার পর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে তার সর্বশেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সারাজীবন এ পুলিশ কর্মকর্তা নিষ্ঠার সাথে কাজ করে গেছেন। অনেক পরিশ্রম করে আজকের পজিশনে এসেছিলেন তিনি। তিনি যেভাবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, তাতে আরও ভালো পজিশনে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। তার অকালে চলে যাওয়া দেশের পুলিশ বাহিনীর জন্য তো বটেই, গোটা দেশের জন্যও অপূরণীয় ক্ষতি।’
সপ্তম বিসিএসের সহকর্মী র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘একসঙ্গে পুলিশে যোগদান করেছিলাম। ট্রেনিং করেছি, অনেক অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তিনি কখনও অসততার আশ্রয় নেননি, নিষ্ঠার সাথে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তাকে দেখে উদীয়মান, মেধাবী অনেক ছাত্রী বিসিএস দিয়ে পুলিশে আসার স্বপ্ন দেখেছে। তার অকাল মৃত্যু সত্যিই অপূরণীয়।’
জানাজা শেষে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, র্যাব, পিবিআই, সিআইডি, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন, পুলিশ সদর দফতর, স্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
উল্লেখ্য, অতিরিক্ত আইজিপি রৌশন আরা বেগম গত ৩ মে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশ নারী ফর্মড পুলিশ ইউনিটের মেডেল প্যারেড উপলক্ষে গিয়েছিলেন। সেখানে স্থানীয় সময় রবিবার (৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) টার্কিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানযোগে ভোর সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ পুলিশের শীর্ষ এই নারী কর্মকর্তার মরদেহ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এসময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর সকাল ১০টায় রাজধানীর মগবাজার নয়াটোলা জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১২টায় মগবাজার ওয়্যারলেস জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বাদ যোহর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় অংশ নেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, মরহুমার দীর্ঘদিনের সহকর্মীবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, সদস্য ও নিহতের আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধব।
