খবর৭১ঃবাগেরহাটের শরণখোলায় পাওনা টাকা আদায় করতে এক বৃদ্ধকে পায়ে শিকলে বেঁধে নির্যাতন চালিয়েছেন স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা।
নির্যাতনের শিকার ওই বৃদ্ধের নাম ইসমাইল হোসেন খান। ওই বৃদ্ধকে গত দুদিন ধরে নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি ওই বৃদ্ধার দাঁড়ির কিছু অংশ টেনে উপড়ে ফেলা হয়েছে।
রোববার দুপুর থেকে বাগেরহাটের শরণখোলার পশ্চিম খাদা গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা কামাল বয়াতীর নেতৃত্বে এ অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে।
সরেজমিনে উপজেলার পশ্চিম খাদা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল বয়াতীর বাড়িতে পায়ে শিকল বেঁধে আটকে রাখা হয়েছে দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত গনি খাঁনের ছেলে ইসমাইল খানকে (৬০)।
কামাল বয়াতী বলেন, ইসমাইল হোসেনের কাছে তার ব্যবসা সংক্রান্ত ২০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। টাকা না দেয়ায় ইসমাইল হোসেনকে পায়ে শিকল বেঁধে আটক করা হয়েছে। টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত তার পায়ে শিকল থাকবে।
ইসমাইল হোসেন জানান, টাকা আদায়ের জন্য বৈঠকের কথা বলে কৌশলে তাকে বাড়ি থেকে বাংলাবাজার এলাকায় ডেকে আনা হয়। সাত হাজার টাকা পরিশোধ করা হলেও এক পর্যায়ে ওই বাজারে জনসমক্ষে কামালের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা বেধড়ক মারপিট করেন এবং তার দাঁড়ির কিছু অংশ তুলে দেন।
এ সময় ঘটনাস্থলের অদূরে অনেকেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এ দৃশ্য দেখলেও ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেননি। পরে ইসমাইল হোসেনের পায়ে শিকল দিয়ে দোকান ঘরের খুঁটির সঙ্গে শনিবার দুপুর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সাত ঘণ্টা বেঁধে রাখেন।
রোববার বিকাল ৫টার সময়ও কামাল বয়াতীর বসতবাড়ির একটি কক্ষে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল।
বন্দি ইসমাইল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সাদা কাগজে তার জোরপূর্বক একাধিক স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। তাকে উদ্ধারের জন্য তিনি সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।
শরণখোলা থানার আফিসার ইনচার্জ দিলীপ কুমার সরকারকে বিষয়টি অবহিত করার পর ইসমাইল হোসেনকে উদ্ধারের জন্য দ্রুত পুলিশের একটি টিম তিনি পাঠিয়েছেন।
তিনি জানান, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হবে।