হবিগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

0
294

মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের লাখাই ও আজমিরীগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেলে পৃথক স্থানে ঘটনা দুটি ঘটে।নিহতরা হলো- জেলার লাখাই উপজেলার জিরুন্ডা গ্রামের নুর আলমের পুত্র সামিউর আলম (২) ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার নগর গ্রামের সোহেল মিয়ার পুত্র শ্রাবন মিয়া।শনিবার বিকেলে লাখাই উপজেলার জিরুন্ডা গ্রামের সামিউল বাড়ির পাশে খেলা করছিল। হঠাৎ সকলের অগোচরে সে বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যায়। অনেকক্ষণ পর পরিবারের লোকজন তার নিথর দেহ পানিতে ভেসে উঠতে দেখে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ সময় কর্তৃব্যরত ডাক্তার মিঠুন রায় তাকে মৃত ঘোষনা করেন।এদিকে, আজমিরিগঞ্জ উপজেলার নগর গ্রামের সোহেল মিয়ার ছেলে শ্রাবণ মিয়া (৬) স্কুল থেকে এসে খেলতে যায়। অনেক্ষণ হয়ে গেলেও সে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজতে বের হয়। এ সময় নগর জামে মসজিদ’র পুকুরে তার দেহ ভেসে উঠতে দেখে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।স্থানীয় সাংবাদিক এনামুল হক মিলাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হবিগঞ্জের গৃহবধুর মৃত্যু ॥ হত্যা না আত্মহত্যা জনমনে প্রশ্ন
মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে বিষাক্রান্ত অবস্থায় নাছিমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। নাছিমার পিত্রালয়ের লোকজন দাবী করছেন তাকে মুখে বিষ ঢেলে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে পরকিয়াসক্ত স্বামী। যদিও হত্যা না আত্মহত্যা তাৎক্ষনিক ভাবে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে হাসপাতালে লাশ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় শ্বশুরালয়ের লোকজনের দিকে সন্দেহের তীর জোরালো হচ্ছে। নিহত নাছিমা চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা গ্রামের সোহেল মিয়ার স্ত্রী। শনিবার দুপুরে সে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে মারা যায়। এ বিষয়ে বানিয়াচং উপজেলার মন্দরী গ্রামের দিলোয়ার হোসেনের পুত্র মৃত নাছিমার ভাই হেলাল মিয়া অভিযোগ করে জানান, প্রায় ৮ বছর পূর্বে চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা গ্রামের আফছর মিয়ার পুত্র সোহেলের সাথে নাছিমাকে বিয়ে দেয়া হয়। তাদের সংসারে তাসকিন আহমেদ নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি সোহেল পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়লে প্রায়ই এ নিয়ে তাদের সংসারে কলহ দেখা দেয়। বিষয়টি নাছিমা তার ভাই হেলালকে সময়ে-সময়ে অবগত করত। গত শুক্রবার সোহেলকে তার পরকিয়া প্রেমিকার সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়ার সুষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সোহেল ক্ষিপ্ত হয়ে নাছিমাকে মারধর করে তার মুখে পরিকল্পিত ভাবে বিষ ঢেলে ওই দিন রাতেই হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে সে। শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় নাছিমা। পরে লাশ হাসপাতালে রেখেই পালিয়ে যায় সোহেল।
এদিকে, খবর পেয়ে সদর থানার এস.আই এস.এম আতাউর রহমান লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মর্গে প্রেরণ করেন। তিনি জানান, ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাবার পর মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে। তবে মামলা হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here