এবার ঠাকুরগাঁও-১আসনে মির্জা ফখরুলের বিপক্ষে আ.লীগে একাধিক প্রার্থী

0
359

খবর৭১:এবার ঠাকুরগাঁও সদর এ থেকে ভোটে লড়বেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আসনটিতে বরাবর শক্তিশালী অবস্থান আওয়ামী লীগের। আর ১৯৯১ সালের পর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে একবারই হারতে হয়েছে দলটিকে।

বিএনপি অবশ্য ফখরুলের পরিচিতি দিয়ে আসনটি নিজেদের করে নেয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। তবে আওয়ামী লীগ প্রত্যয়ী ঘাঁটি ধরে রাখায়।

স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে সিংহভাগ নির্বাচনেই জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে দলের বিভেদে সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে দলের প্রার্থীদের হার হয়েছে। আর একে সুযোগ হিসেবে দেখছে বিএনপি।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন পোড়খাওয়া রাজনীতিক। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীরও সদস্য।

তবে এবার রমেশ আবারও ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু কেন্দ্র কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে আভাস মিলছে তৃণমূলের বিভেদের। প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই নেতাকর্মীরা বিভক্ত। বিশেষ করে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে জামায়াত নেতার ছেলেকে চাকরি দেয়াকে মানতে পারছেন না তারা।

রমেশ চন্দ্র অবশ্য কোন্দলের বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান না। তিনি উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে আবার মনোনয়ন পেতে চান।

সাহেদের পরিবারের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে আগাম জনসংযোগ শুরুও হয়ে গেছে। দলীয় মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন।

আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘দলকে সংগঠিত করতে সাহেদকে মনোনয়ন দেওয়া উচিত।’

সাহেদুল ইসলাম জাপানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসের ডেপুটি কনসাল জেনারেলও কর্মরত ছিলেন।

মনোনয়নপ্রত্যাশী আরও আছেন। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুনাংসু দত্ত টিটোও মনোনয়ন চান। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে আমি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেই। কিন্তু দলের ভেতরের ষড়যন্ত্রের কারণে এক লক্ষ ৭০ হাজার ভোট পেয়েও পরাজিত হই। সাধারণ মানুষের ভালোবাসা রয়েছে আমার প্রতি। মনোনয়ন পেলে আমি বিপুল ভোটে জয়ী হতে পারব।’

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মকবুল হোসেন বাবুও বলেন, ‘দলের অনেক সুখ-দুঃখের সাথী আমি। আবার বাবা ফজলুল করিমও ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। ১৯৭০ ও ৭৩ সালে সংসদ সদস্যও হন। এসব বিবেচনায় আমি মনোনয়ন পাব বলে আশা করি।’

যুব মহিলা লীগের সভাপতি তাহমিনা আকতার মোল্লাহ বলেন, ‘মনোনয়ন হলো দলের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি। সেজন্য আমি আসন্ন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে ইচ্ছুক।’

অতীতের ইতিহাসে ভোটে পিছিয়ে থাকলেও বিএনপি অন্তত এক দিক থেকে স্বস্তি যে দলে কোনো কোন্দল নেই। বরং মির্জা ফখরুল ইসলামকে জিতিয়ে এতে তারা আসনটি দখলে নিয়ে নিতে চান।

বর্তমান সরকারের আমলে সদর উপজেলা ও পৌর নির্বাচনে বিএনপির জয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে দলের।

জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমানের দাবি, ‘বিএনপির অবস্থান শক্ত হওয়ায় তারা উপজেলা পরিষদ ও পৌর নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। একাদশ জাতীয সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনে লেভেল প্রেয়িং ফিল্ড ঠিক থাকলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বিপুল ভোটে জিতবেন।’

একই কথা বলেছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলও। তিনি বলেন, ‘যদি মিনিমান লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পাওয়া যায়, তবে আমরা মির্জা ফখরুলকে জয়ের মালা পড়াব।’
খবর৭১/জি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here