লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হবে সুপারবাগে!

0
475

খবর ৭১: ইউরোপে বসবাসকারী লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হবে সুপারবাগে! দ্য অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) আজ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে বলছে, উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সুপারবাগের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ২৪ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, সুপারবাগের কারণে ‘সাংঘাতিক বিপর্যয়’-এর মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওইসিডি বলছে, দরকারি নয় এমন অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা না হলে এবং জনস্বাস্থ্য ও হাসপাতালের মৌলিক স্বাস্থ্যবিধির পেছনে ব্যয় না বাড়ালে, পরিণাম মারাত্মক হতে পারে।

সুপারবাগ হলো অ্যান্টিবায়োটিক সহনশীল ব্যাকটেরিয়া। এসব ব্যাকটেরিয়াকে প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিয়ে ঠেকানো যায় না। ২০১৫ সালে সুপারবাগের আক্রমণে শুধু ইউরোপেই ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ওইসিডি তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে সুপারবাগের আক্রমণে ২৪ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিক-সহনশীল ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের চিকিৎসায় বিপুল ব্যয় হবে। প্রতিটি দেশের এই খাতে গড়ে বছরে প্রায় তিন বিলিয়ন ইউরো করে খরচ হবে।

ওইসিডির গবেষক দল জানিয়েছে, সুপারবাগে সংক্রমণের ব্যয় সাধারণ জ্বর বা এইচআইভি সংক্রমণের চেয়ে অনেক বেশি। আর বিভিন্ন দেশ এ ব্যাপারে সঠিক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ না নেওয়ায় খরচ আরও বাড়ছে।

নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে সুপারবাগ আরও অপ্রতিরোধ্য রূপে দেখা দিতে পারে। গবেষকেরা বলছেন, ইন্দোনেশিয়া ও ব্রাজিলে এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের হার ৬০ শতাংশ। আর এসব ব্যাকটেরিয়া ন্যূনতম একটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের প্রতি সহনশীল। আগে এসব অ্যান্টিবায়োটিককে ওই নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া ঠেকানো গেলেও, এখন আর যায় না।

ওইসিডির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুপারবাগের কারণে রান্নার সময় হাত কেটে যাওয়া বা নিউমোনিয়ার মতো অসুখও জীবনের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের অপরিকল্পিত ও অতিরিক্ত ব্যবহারই এর কারণ বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here