যানজটমুক্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কও

0
236

খবর ৭১ঃ এবার ঈদে বাড়ি ফেরা শুরুর আগেই সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা করা হচ্ছিল দেশের প্রধান মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম নিয়ে। রোজার আগে থেকেই এই মহাসড়কে নিত্য দীর্ঘ যানজট ঈদে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে কি না, সে নিয়ে আশঙ্কার যথেষ্ট কারণ ছিল।

এই মহাসড়ক চারলেন হলেও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু দুই লেন থাকাকে বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছিল। এর মধ্যে মেঘনা-গোমতীতে আবার দিতে হয় টোল। আর এই লেনদেন করার সময় গাড়ির দীর্ঘ সারি দুই পাশে ব্যাপক ভোগান্তির কারণ হয়ে গণমাধ্যমে নিয়মিত সংবাদ হয়েছে গত কয়েক মাস।

তবে সরকার আশ্বাস দিয়েছিল ঈদে যানজট হবে না। এ জন্য টোল দিয়ে সেতু পারাপারের পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে রাখা হয় ফেরি পারপারও। আর ফেনীতে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার খুলে দেয়া, পচনশীল ও পোশাক শিল্পের মালামাল পরিবাহী গাড়ি ছাড়া ট্রাক বন্ধ রাখা, মহাসড়কে ধীর গতির ছোট যানবাহন নিয়ন্ত্রণ সর্বোপরি শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের নজরদারিতে গাড়ি চলছে নির্বিঘ্নেই।

গত কয়েকদিন ধরে কুমিল্লার ১০৪ কিলোমিটার সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও ধীরগতি বা যানজট নেই বললেই চলে। যাত্রীরা বলছেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের ব্যবস্থাপনা ভালো আর স্বস্তিরও।

মধ্যপ্রাচ্যে ঈদ উৎসপিত হচ্ছে বলে আগামীকাল শনিবার ঈদ হচ্ছে বাংলাদেশে, এটা অনেকটাই নিশ্চিত। আর এরই মধ্যে সিংহভাগ মানুষ চলে গেলে নিজ এলাকায়। যত সময় যাচ্ছে সড়কে গাড়ির চাপ কমছে তত।

কুমিল্লা বাস মালিক সমিতির সচিব তাজুল ইসলাম জানান, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার অংশে চারলেন সড়ক হওয়ায় এ বছর যানজট নেই, কমেছে দুর্ঘটনাও। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর যাত্রীরা স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন।’

যারা ঈদ করতে এই মহাসড়ক ধরে বাড়ি গেছেন, তাদের একজন ফেনীর মোরশেদ আলম। ট্রেনের টিকেট না পাওয়া ভয় ছিল বাড়িতে যাওয়া নিয়ে। কিন্তু শুক্রবার সকাল ১০ টায় বাসে উঠে তিন ঘন্টায় তিনি কুমিল্লায় পৌঁছে যান। পথে নারায়ণগঞ্জ অংশে কিছুটা ধীরগতি ছাড়া পুরো পথে নির্বিঘ্নে এসেছেন।

কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ঈদুল ফিতরকে ঘিরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার অংশে জেলা ও হাইওয়ে পুলিশের পাঁচ শতাধিক সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। এ ছাড়াও মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘœ করতে ঈদের দিন পর্যন্ত সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

যাত্রীদের নিরাপত্তায় হাইওয়ে পুলিশের ৪১টি মোবাইল টিম এবং ৩৬ জন কর্মকর্তা মোটর বাইক নিয়ে ‘কুইক টিম’ হিসেবে মহাসড়কে অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে যানবাহন চলাচল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানান নজরুল ইসলাম।

মহাসড়কের কোথাও দুর্ঘটনা কিংবা কেউ চাঁদা দাবি করলে হাইওয়ে পুলিশের নম্বরে জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। বলেন, ‘এমনটি হলে হাইওয়ে পুলিশের ‘কুইক টিম’ দ্রুত পৌঁছে ব্যবস্থা নেবে।’

এই মহাসড়কটি ছাড়াও ঢাকা-টাঙ্গাইল-ঢাকা ময়মনসিংহ, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কেও ঈদে যানজটের আশঙ্কা করা হয়েছিল। তবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ছাড়া বাকিগুলোতে যানজটের তেমন খবর পাওয়া যায়নি। যানজট না থাকার পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবরও এবার সেভাবে আসেনি।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here