ক্যান্সারকে আমন্ত্রণ জানায় যে ১১ খাবার

0
372

খবর৭১: সব সময়ই আপনি এই খাবারগুলি খান বা খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু জানেন কি? এই খাবারগুলিই আপনার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হয়ে দাঁডা়তে পারে। এগুলির বেশির ভাগই প্রসেসড ফুড। আর এর ফলেই শরীরে ঢুকছে বিষ। দীর্ঘদিনের জন্য খাবার সংরক্ষণ করে রাখতে এমন এমন প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হচ্ছে, যা বহুগুণে বাড়িয়ে দিচ্ছে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা।

মাইক্রোওয়েভ পপকর্ন: ব্যাগে করে বিক্রি হয় অনেক কম্পানির মাইক্রোওয়েভ পপকর্ন। যার ফলে শরীরে ঢুকতে পারে পারফ্লুওরুকট্যানোইক অ্যাসিড, যা একটি কার্সিনোজেনিক উপাদান।

ক্যানড ফুড: এ ধরনের খাবারে থাকে বাইফেনল-A, সংক্ষেপে BPA। যার প্রভাবে মস্তিষ্কের ভেতর জিনের কার্যকারিতা নষ্ট হয়।

প্রসেসড মিট: নানারকমভাবে মাংসকে প্রসেস করে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন রকমের স্ন্যাকস, হটডগ, সসেজ, বেকন, বার্গার। প্রসেসড মাংসকে সুস্বাদু করার তালে ব্যবহার করা হচ্ছে নানা ধরনের প্রিজারভেটিভ। যা শরীরে ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে।

ভেড়িতে চাষ করা মাছ: ভেড়িতে চাষ করা মাছে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি। এত বেশি পরিমাণে ভেড়িতে রাসায়নিক, কীটনাশক ও ওষুধ প্রয়োগ করা হয় যে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক।

পটেটো চিপস: চিপস খেতে আপনি প্রচণ্ড ভালোবাসেন। ঘরে বাইরে চায়ের সঙ্গে, অফিসে কাজ করতে করতে চিপস না হলে ঠিক চলে না। চিপসের প্রতি এত আসক্তি কিন্তু আপনার যম হয়ে দেখা দিতে পারে। প্রচণ্ড তাপমাত্রায় চিপস যখন ভাজা হয়, তখন তৈরি হয় অ্যাক্রিলামাইড, যা পাওয়া যায় সিগারেটেও। ফলে সিগারেট ও চিপস, দুই-ই একইরকমভাবে কার্সিনোজেনিক।

হাইড্রোজেন অয়েল: বাজারে মুনাফা তোলার তাগিদে সবাই ব্যস্ত কী করে তাদের পণ্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যায়। কী করে পণ্যকে দীর্ঘায়ু করা যায়। কী করেই বা এর স্বাদ আরও বাড়ানো যায়। এই করতে গিয়ে বিভিন্ন ভেজিটেবল অয়েলের সঙ্গে হাইড্রোজেনের বিক্রিয়া ঘটিয়ে তৈরি করা হচ্ছে হাইড্রোজেনেটেড অয়েল। যা আপনার শরীরের কোষপর্দাকে (Cell Membrane) ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

ময়দা: ময়দায় ক্যান্সার! তাহলে লুচি-পরোটার কী হবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রসেসড যেসব ময়দা দেখতে যত ধবধবে সাদা, বিপদ সেখানেই। খুব সাদা করার জন্য ব্যবহার করা হয় ক্লোরিন। যা আপনার রক্তে দ্রুত শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেবে। আর এই শর্করা ক্যান্সার আক্রান্ত কোষের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

চিনি: অত্যধিক চিনি কিন্তু শরীরের পক্ষে ভয়ানক ক্ষতিকারক। খুব চিনি খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। যা প্রকান্তরে শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়ায়।

সুইটনার: এখন বিভিন্ন প্রসেসড ফুডে আপনি পাবেন কৃত্রিম সুইটনার অ্যাসপারটেম। যা ভীষণভাবেই কার্সিনোজেনিক। পরিপাকের সময় অ্যাসপারটেম টক্সিক উপাদান DKP-তে ভেঙে যায়, যার ফলে ব্রেন টিউমারও হতে পারে।

অ্যালকোহল: পরিমিত সীমার মধ্যে মদ্যপান সেভাবে আপনার শরীরের কোনও ক্ষতি করবে না। কিন্তু, আপনি যদি রোজ অত্যধিক হারে মদ্যপান করেন, তবে আপনার কোলন, রেকটাম, মুখ, খাদ্যনালীতে ক্যান্সার এমনকী ব্রেস্ট ক্যান্সারও অবশ্যম্ভাবী।

সোডা: হার্ড ড্রিংকস আপনার না পছন্দ, তাই পার্টিতে সোডা ওয়াটারই আপনার প্রথম পছন্দ। ভাববেন না, এতে আপনার নিশ্চিন্ত হওয়ার কোনও কারণ আছে। কারণ, সোডা ওয়াটারে থাকে সুগার। কিছু কিছু ক্ষেত্রে থাকে সুইটনারও। আর ক্যান্সারে এদের ভূমিকা, আমরা আগেই আপনাদের জানিয়েছি। এছাড়া কৃত্রিম রং ও ফ্লেভারও অনেক সময় দেয়া হয় সোডা ওয়াটারে।

এমন নয় যে বিক্রেতারা জানেন না, কোন প্যাকেটজাত খাবারে কোথায় কী বিপদ লুকিয়ে আছে। কিন্তু বহুল বিক্রি আর ব্যবসায় লাভের কারণে তারা সব জেনেও চুপ করে থাকেন। ফলে সাধারণ মানুষের অজান্তেই তার শরীরে ঢুকে পড়ে মারণব্যাধি।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here