ব্যস্ত বন্দরের তালিকায় ৬ ধাপ এগিয়ে ৬৪তম চট্টগ্রাম

0
647

খবর৭১ঃ চট্টগ্রাম বন্দর এখন বিশ্বের ১০০ ব্যস্ত বন্দরের মধ্যে ৬৪তম। এক বছরের ব্যবধানে এক লাফে ছয় ধাপ এগিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। ২০১৮ সালে বিশ্বের বন্দরগুলোর কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা হিসাব করে এই তালিকা করা হয়েছে। তালিকাটি গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে লন্ডনভিত্তিক শিপিং-বিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো সংবাদমাধ্যম ‘লয়েডস লিস্ট’।

২০০৮ সালে লয়েড’স-এর তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৯৫তম। এরপর গত ১১ বছরে ধাপে ধাপে এগিয়েছে দেশের প্রধান এই সমুদ্র বন্দর।

এই র‌্যাংকিংয়ে শুধু কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ বিবেচনা করা হয়। খোলা পণ্য (বাল্ক কার্গো) হ্যান্ডলিং কিংবা অন্যান্য সেবার বিষয় দেখা হয় না।

লয়েড’স লিস্ট বলেছে, ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দর কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের দিকে থেকে ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। যা ২০১৯ সালের র‌্যাংকিংয়ে এই বন্দরকে ৬৪তম অবস্থানে নিয়ে যেতে সহায়তা করেছে।

লয়েড’স লিস্টের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছর চট্টগ্রাম বন্দর ২৯ লাখ ৩ হাজার ৯৯৬ টিইইউএস (টুয়েন্টি ফিট ইকুইভিলেন্ট ইউনিটস) কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে। ২০১৭ সালে যা ছিল ২৬ লাখ ৬৭ হাজার ২২৩ টিইইউএস। অর্থাৎ এক বছরে এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক শুক্রবার যুগান্তরকে বলেন, লয়েড’স লিস্টের নতুন তালিকা প্রকাশের বিষয়টি আমরা শুক্রবার জানতে পেরেছি। তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দর ৬ ধাপ এগিয়ে ৬৪তম স্থানে উঠে এসেছে। কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতার দিক বিবেচনায় বিশ্বের ১০০টি বন্দরের তালিকা প্রতি বছরই প্রকাশ করে সংবাদ মাধ্যমটি।গত বছর আমরা ছিলাম ৭০তম অবস্থানে।’

ওমর ফারুক বলেন, এই উন্নতি অবশ্যই বন্দরের জন্য একটি বড় সাফল্য। গত বছর আমরা ২৯ লাখ টিইইউএসের কিছু বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছি। বন্দরের কনটেইনার রাখার ইয়ার্ড বেড়েছে। গত এক বছরে গ্যান্টি ক্রেনসহ বন্দরের বহরে নানা ধরনের হ্যান্ডলিং সরঞ্জামাদি যুক্ত হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বেড়েছে। এই সাফল্যের পেছনে বন্দর ব্যবহারকারী ও সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী বিভিন্ন পক্ষ এবং বন্দরের শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবদান রয়েছে।’

এবার ১০০টি শীর্ষ বন্দরের এই তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে চীনের সাংহাই বন্দর। ২০১৮ সালেও বন্দরটি শীর্ষে ছিল। যথারীতি দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে সিঙ্গাপুর পোর্ট। তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম অবস্থান চীনের বিভিন্ন বন্দরের দখলে রয়েছে। ষষ্ঠ অবস্থানে এসেছে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান বন্দর। দশম অবস্থানে আছে মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই পোর্ট। নেদারল্যান্ডসের রটারডেম পোর্ট রয়েছে ১১তম অবস্থানে।মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং ১২তম। প্রতিবেশী দেশ ভারতের জওহরলাল নেহেরু বন্দর ২৮তম ও মুন্দারা ৩৬তম অবস্থানে রয়েছে।

লয়েড’স লিস্টের হিসাব অনুযায়ী, শীর্ষস্থানে থাকা চীনের সাংহাই বন্দর ২০১৮ সালে হ্যান্ডলিং করেছিল ৪ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার ২০০ টিইইউ’স। ২০১৭ সালে যা ছিল ৪ কোটি ২ লাখ ৩৩ হাজার টিইইউ’স। প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here