খবর৭১ঃকক্সবাজারে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাড়ি দিচ্ছে রোহিঙ্গারা। আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে জেলার উপকূলীয় স্থানের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মালয়েশিয়াগামী আংশিক রোহিঙ্গাদের আটক করে ক্যাম্পে পাঠালেও সিংহভাগ রোহিঙ্গা সাগরপথে মালয়েশিয়া পাড়ি জমানোর অভিযোগ উঠেছে।
গত কয়েকদিনে কক্সবাজার শহর, উখিয়া ও টেকনাফ থেকে মালয়েশিয়াগামী ১৫১ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এরমধ্যে টেকনাফে নারীসহ ৪২ জন, উখিয়ায় ৭০ জন ও কক্সবাজার শহরে ৩৯ জন। এরা পৃথকভাবে আটক হন মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার।
আটককৃতদের মধ্যে ৬৯ জন নারী, ৩৭ জন শিশু ও ৪৫ জন পুরুষ। তারা সবাই কক্সবাজার শহর, উখিয়া ও টেকনাফের সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন সাগরপথে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন।
টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএমএস দোহা সাংবাদিকদের জানান, টেকনাফের বাহারছড়ার নোয়াখালীপাড়া এলাকা দিয়ে রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়ায় পাচার করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় পৃথক অভিযানে ৪২ জনকে আটক করে ক্যাম্পে পাঠানো হয়। তবে পাচার কাজে জড়িত দালালদের শনাক্ত করার কাজ চলছে।
উদ্ধারকৃতদের মধ্যে রোহিঙ্গা নারী গুলমেহের জানান, তার স্বামী মোহাম্মদ কাশেমকে রাখাইন সন্ত্রাসীরা মেরে ফেলেছে। বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলেছে। প্রাণ বাচাঁতে ১০ মে রাতে হ্নীলা জাদিমোরা ঘাট দিয়ে এপাড়ে আসলে তাবাইয়া নামে এক ব্যক্তি তাদের মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে লম্বরীপাড়াস্থ তার বাড়িতে পাঁচদিন রাখেন। পরে কয়েকদিন ধরে স্থান পরিবর্তনের পর মঙ্গলবার রাতে উখিয়া উপকূলের দিয়ে সাগরে বোটে ওঠার পথে পুলিশ ৭০ জনকে আটক করে।
উখিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, উদ্ধার করা রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাই শেষে ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে রোহিঙ্গা পাচারের সঙ্গে জড়িতদের ধরার জন্য অভিযান চলছে।
এদিকে কক্সবাজার শহরের দরিয়ানগরস্থ শুকনাছড়ি থেকে ৩৪ জন এবং সমিতিপাড়া থেকে ৫ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে সদর মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খায়রুজ্জামান জানান, পাচারের প্রস্তুতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া রোহিঙ্গাদের স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয় এবং পাচারকারী সিন্ডিকেটকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।