খবর৭১ঃ ২৭ বছর ধরে আমি মহাসড়কগুলোতে গাড়ি চালাই। আমার গাড়িতে কখনও এমন দুর্ঘটনা ঘটেনি। অথচ আমার মেয়েই বাসচাপায় নিহত হয়েছে।
কথাগুলো বলেছেন বাসচাপায় নিহত শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী দিয়া খানম ওরফে মীমের বাবা জাহাঙ্গীর।
তিনি বলেন, অদক্ষ চালকদের আমি নিজে প্রশিক্ষণ দিতে চাই।
মহাখালীতে দুকক্ষের একটি বাসায় থাকেন জাহাঙ্গীর। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তার বাসায় গেলে দেখা গেছে, মেয়ে হারানোর শোকে নির্বাক বসে আছেন দিয়ার মা। আর বাবা টেবিলের ওপর সাজানো মেয়ের বই নিয়ে নাড়াচাড়া করছেন।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার সময় মীমের হাতে একটি ছাতা ছিল। গতকাল গিয়ে দেখেন, ঝাড়ুদাররা আবর্জনার সঙ্গে ছাতাটাও ফেলে দিচ্ছে। তখন তিনি ছাতাটা নিয়ে আসেন।
আজ মঙ্গলবার ১০টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল দিয়ার বাসায় গেলে জাহাঙ্গীর আলম এ দুর্ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন। এ সময়ে স্থানীয় এমপি আবুল কালাম আজাদও সঙ্গে ছিলেন।
মীমের বড় বোন রুকাইয়া খানম রিয়াও একাদশ শ্রেণিতে পড়ছে। এমপি আবুল কালাম আজাদ তার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন।
পিএইচপি উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে ছোট ভাই রিয়াদুল ইসলাম আরাফাত। পড়াশোনায় সে ভালো। স্কুল কর্তৃপক্ষ তার দায়িত্ব নেবে বলে জানিয়েছে।
খবর৭১/এসঃ